তিন ব্যাচেলর বন্ধু, তাঁদের প্রেমিকা এবং সম্পর্কের নানা টানাপোড়েন, এই ছিল গল্পের মূল আধার। আর এই কারণেই ছবি সব চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল টিন এজারদের মধ্যে। কারণ তাঁরা ছবির সঙ্গে একাত্ম বোধ করেছিল। কার্তিক ছাড়াও ছবিতে ছিলেন নুসরত ভারুচা (Nushrat Bharucha), দিব্যেন্দু শর্মা (Divyendu Sharma), রাও এস বাখিরতা (Raayo S. Bakhirta), সোনালি সায়গল (Sonnalli Seygall), ইশিতা রাজ শর্মা (Ishita Raj Sharma)।
advertisement
ছবি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে কিন্তু বোঝা যায়নি যে এটি বছরের অন্যতম সফল ছবি হতে চলেছে। কিন্তু মজার মোড়কে আধুনিক জীবনের ঠুনকো সম্পর্ক নিয়ে তৈরি এই ছবি ধীরে ধীরে বক্স অফিসে জমিয়ে বসে। ছবির অন্যতম সফল অংশ ছিল কার্তিকের মোনোলগ। ২০২১-এ দশ বছরে পা দিল এই ছবি। এক সাক্ষাৎকারে কার্তিক জানিয়েছিলেন যে এই দীর্ঘ সংলাপ এক টেকেই ওকে হয়েছিল।
https://www.youtube.com/watch?v=qy0m-4meolQ
প্রায় ছয় মাস ধরে এই ছবির অডিশন হয়েছিল। প্রতি দু’সপ্তাহ অন্তর অন্তর কার্তিককেও সেই জন্য হাজিরা দিতে হত। তাঁকে বলা হয়েছিল এই একক সংলাপ ঠিকঠাক বলতে পারলেই কেল্লা ফতে! তাহলেই নির্বাচন করা হবে তাঁকে।
অভিনেতার কেরিয়ারে কিক স্টার্টার হিসাবে পেয়ার কা পাঞ্চনামা একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। ছবির সাফল্যে এর দ্বিতীয় ভাগও তৈরি হয়েছিল এবং সেটিও সফল হয়েছিল। কার্তিকের মনে আছে যে তিনি অডিশনের সময়ে একবারেই এই মোনোলগ বলতে পেরেছিলেন। সেখানে উপস্থিত সবাই হাততালি দিয়ে উঠেছিল। প্রকৃতপক্ষে কেউ ভাবতেই পারেনি যে ওই কঠিন ও দীর্ঘ সংলাপ একবারে কেউ বলতে পারবে। বোঝাই যাচ্ছে কার্তিক এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন। শুধু মোনোলগ নয়, এই দৃশ্যটিও বেশ দীর্ঘ ছিল। সাড়ে পাঁচ পাতার দীর্ঘ দৃশ্যও একবারেই ওকে করেছিলেন কার্তিক!