৬৭ বছর পর ইন্দির ঠাকরুণের সন্ধানে অনীক দত্তকেও প্রাথমিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে৷ একাধিক অভিনেত্রীর কাছে এই ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তাঁরা রাজি হননি৷ বহু সন্ধানের পরও ইন্দুবালা তথা ননীবালার চরিত্রে অভিনেত্রী তাঁর কাছে অধরাই থেকে যায়৷ শেষে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে পরিচালক সন্ধান পান লোকশিল্পী হর কুমার গুপ্তের৷ তাঁকেই চুনীবালা রূপে মনোনীত করেন অনীক৷
advertisement
আরও পড়ুন : অনীকের শ্রদ্ধার্ঘ্য নামেও ‘অপরাজিত’, কাজেও অপরাজিত! জিতুর অভিনয় অতুলনীয়
শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এই অসাধ্যসাধন ঘটিয়েছেন অনীক৷ পুরুষ অভিনেতার মাধ্যমে তিনি ফিরিয়ে এনেছেন এক ও অদ্বিতীয় ইন্দির ঠাকরুণকে৷ মূল ছবিতে অভিনয়ের আগে হরবাবুকে দিয়ে ওয়ার্কশপ করানো হয়৷ তার পর রূপসজ্জা শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর হাতের নিপুণ জাদুতে ধীরে ধীরে হরকুমার রূপান্তরিত হন ইন্দিরঠাকরুণে৷ ছবিতে তাঁর কণ্ঠস্বর ডাবিং করেন পরিচালক অনীক দত্ত নিজে৷
আরও পড়ুন : সৌমিত্র-স্বাতীলেখার মতো ‘বেলাশুরু’ দেখতে পাবেন না পবিত্রচিত্ত-গীতাও
চলচ্চিত্রহীন যাপনে অভ্যস্ত হরবাবু অভিনয়ের আগে জানতেন না ইন্দির ঠাকরুণের কথা৷ দেখেননি ‘পথের পাঁচালী’-ও৷ তিনি ব্যপ্ত ছিলেন লেঠো গান নিয়েই৷ তবে বীরভূমের এই ভূমিপুত্র নিছক শিল্পী নন৷ হরকুমার গুপ্তকে বলা হয় লেঠোসঙ্গীতের একচ্ছত্র সম্রাট৷ ‘অপরাজিত’-র শ্যুটিং শেষে নিজের রাজপাটে ফিরে গিয়েছেন এই মুকুটহীন সম্রাট৷ অজান্তেই জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকদের হৃদমাঝারে৷
আরও পড়ুন : অতীতে একাধিক সম্পর্ক, প্রেম থিতু হতে পারতেন না পল্লবী, বলেন তাঁর মা
নারীচরিত্রে পুরুষ অভিনেতার অভিনয় বাংলা বিনোদন মানচিত্রে নতুন নয়৷ তবে সে সব ছিল মঞ্চের গ্ল্যামারচর্চিত চরিত্র৷ লোলচর্ম বলিরেখাসর্বস্ব ইন্দিরঠাকরুণের চরিত্রে যে একজন পুরুষ শিল্পী অভিনয় করতে পারেন, সে ছিল আকাশকুসুম ভাবনা৷ অসম্ভবকে সম্ভবে রূপান্তরিত করে আজ সকলের কুর্নিশ উপভোগ করছেন অনীক৷