যোগাসন: শ্রীলঙ্কার সুন্দরী ভারতীয় যোগাসনে বিশ্বাসী। তাঁর যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল খুললেই দেখা যাবে শরীরচর্চার নানা ছবি এবং ভিডিও। ওয়ার্কআউট হিসেবে যোগাসন শুধু ভারতে নয়, বিদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শুধু শারীরিক কসরত নয়, মনঃসংযোগ বৃদ্ধিতেও যোগাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন ৪০ পেরোতেই ত্বকে ছোপ, একমাত্র এভাবেই মোকাবিলা করলে মিলবে উজ্জ্বল ত্বক
advertisement
মানসিক স্বাস্থ্য: শুধু শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার দিকেও তীক্ষ্ণ নজর দেন জ্যাকলিন। সামগ্রিক সুস্থতা এবং ভাল থাকার জন্য এই দুটো জিনিসই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিজের মানসিক অস্থিরতা এবং তা থেকে কীভাবে বেরিয়ে এসেছিলেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন জ্যাকলিন।
ওয়ার্কআউট প্রতিদিন: পেশাদার অভিনেতার জীবনে শৃঙ্খলা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ফিটনেসের ক্ষেত্রে। শরীরের সঠিক আকৃতি বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই কখনও ওয়ার্কআউট মিস করেন না জ্যাকলিন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘যত ব্যস্ততাই থাক, প্রতিদিন অন্তত একঘণ্টা আমি ওয়ার্কআউট করি। বছরের পর বছর ধরে এটাই আমার রুটিন। শরীরের ভারসাম্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’।
ওয়ার্কআউট মানে মজা: ওয়ার্কআউট মানেই জিমে গা ঘামানো নয়। এতে যেন মজাও থাকে। যাতে ওয়ার্কআউট করে আনন্দ পাওয়া যায়। এমনটাই মনে করেন জ্যাকলিন। তাই জিমে সময় কাটানো ছাড়াও পোল ডান্স কিংবা সাঁতারেও অনেকটা সময় ব্যয় করেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন ৫০-এও থাকবেন তাজা! শারীরিক ক্ষমতা থাকবে অটুট, পান করুন এই ৫ রকমের জুস!
পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ: ওয়ার্কআউটের সময় জান লড়িয়ে দেওয়া চাই। কিন্তু এটার জন্য উৎসাহ যোগায় পরিবেশ। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওয়ার্কআউটের সময় পরিবেশকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। জ্যাকলিন বলছেন, ‘ওয়ার্কআউটের সময় রিল্যাক্সিং মিউজিক চাই। এটা বাড়তি এনার্জি দেয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকেও খেয়াল রাখা উচিত।
ওয়ার্কআউটের ধরন: না, ওয়ার্কআউটের নির্দিষ্ট কোনও ধরন নেই। কেউ ওয়েট ট্রেনিং করবে, কেউ ফ্রি হ্যান্ড। কার জন্য কোন ধরনের ওয়ার্কআউট কার্যকরী সেটা ব্যক্তি অনুযায়ী পাল্টে যায়। এমনটাই মনে করেন জ্যাকলিন। তবে হ্যাঁ, ওয়ার্কআউট করে যেন আনন্দ পাওয়া যায়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। তবেই ওয়ার্কআউটের ফল মিলবে। নাহলে পরিশ্রমই মাটি!