তবে এ বারের ব্যাপার একেবারে আলাদা! ওই ছবিগুলো অ্যানিমেশনে হলেও এ বার ওয়ার্নার ব্রাদার্স যে টম অ্যান্ড জেরি মুভি নিয়ে আসতে চলেছে দর্শকের দরবারে, তা শুধুই অ্যানিমেশন নির্ভর নয়। এখানে খুব যুক্তিসঙ্গত ভাবেই টম আর জেরির অবয়ব এবং তাদের নানা কাণ্ডকারখানা ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অ্যানিমেশন, তবে ছবির বাকি অংশ জুড়ে অভিনয় করবে মানুষেই।
advertisement
জানা গিয়েছে যে, ছবির গল্পে দেখা যাবে নিউ ইয়র্কের এক পাঁচতারা হোটেল। যে হোটেলে ইঁদুরের বড় বেশি উৎপাত! বোঝা যাচ্ছে সহজেই- এ একাধিক নয়, স্রেফ এক ইঁদুর, আমাদের বড় প্রিয় জেরির কীর্তিকলাপ! তো, এক ডাকসাইটে ক্লায়েন্টের বিয়ের পার্টির আগে হোটেলের ম্যানেজার এই ইঁদুর শায়েস্তা করার জন্য ভাড়া করলেন কাইলা নামের এক কর্মীকে। এই কাইলার দলেই রয়েছে টম!
এর পর কী ঘটবে, তা প্রত্যক্ষ করা যাবে ছবিতেই। আপাতত শুধু দুই চোখ ভরে দেখা গিয়েছে ছবির ট্রেলার। আর সেখানেই একটি দৃশ্যে জেরিকে বাথটবে গা ডুবিয়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। শ্যেনচক্ষু এক ট্যুইটারেতি ওই দৃশ্যে এক বিশেষ প্রযুক্তির উপস্থিতি দেখে চমকে গিয়েছেন। জিনিসটা হল এয়ারপডস। Apple-এর এই যন্ত্র বিশ্বের পয়লা সারির ধনী ব্যক্তি ছাড়া কেউ কিনে উঠতে পারেন না! জেরি সেই এয়ারপডস সাউন্ডস্পিকার হিসেবে আর একটা স্মার্টফোন টিভি হিসেবে ব্যবহার করছে দেখেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র বিক্ষোভ, ব্যঙ্গ আর বিদ্রুপের পালা। ট্যুইটারেতিরা না কি জেরির ওই এয়ারপডস ব্যবহার করা দেখে নিজেদের দীনদশা সম্পর্কে নতুন করে সচেতন হয়েছেন! দেখতেই তো পাচ্ছেন নিচের ট্যুইটগুলো, কোন দিকে ধারা গিয়েছে তার!
কথা হল, হালফিলের প্রযুক্তি ব্যবহার করাটা কিন্তু টম বা জেরি কারও পক্ষেই নতুন কিছু নয়। নব্বইয়ের দশকে আমরা তাদের রেডিও, টিভি, ল্যান্ডফোন থেকে শুরু করে পরে আরও টুকটাক গ্যাজেটস ব্যবহার করতে দেখেছি। সে ক্ষেত্রে এই সময়ে এসে জেরির এয়ারপডস আর স্মার্টফোন ব্যবহার করাটা কি খুব অযৌক্তিক?