TRENDING:

Ray: কেকে মেননের বুকে শুয়ে শ্যুট ! সৃজিতের স্যালুট ! 'রে'- নিয়ে আড্ডায় মৌমিতা পন্ডিত

Last Updated:

'রে' (Ray)-তে অভিনয়ে নজর কাড়লেন মৌমিতা পন্ডিত। কেকে মেনন থেকে সৃজিত প্রশংসা করলেন নায়িকার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: স্বপ্ন তো সবাই দেখে ! কিন্তু সত্যি হয় ক'জনের ! তবে কিছু মানুষ আছেন, যারা স্বপ্ন খায়, গায় মাখে, বালিশে চেপে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর হতেই ফের তাড়া করে, সেই জেগে দেখা স্বপ্নের পিঁছনে। মৌমিতা পন্ডিত ঠিক এমন একটি মেয়ে। জীবনের সব ঝড়-ঝাপটা সামলে এগিয়ে চলেছে সে। মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় এসে অভিনয় করার যাত্রা পথ খুব সহজ ছিল না তাঁর। কাছের মানুষরা একে একে হারিয়েছে। দূরে সরে গিয়েছে। কিন্তু স্বপ্ন দেখা থামেনি এই মেয়ের। সেই সঙ্গে লড়াই চলেছে জোর কদমে। আর তাই আজ সৃ্জিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'রে'-তে নিজের দক্ষতায় অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন তিনি। 'বহুরূপিয়া'-তে অভিনয় করেছেন টলি কন্যা মৌমিতা। মন খুলে জানালেন শ্যুটিংয়ের নানা কথা।
advertisement

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম কাজ? কিভাবে এল এই সুযোগ?

আমি অডিশন দিয়ে কাজটা পাই। সে সময় পরিচালক একটি একদম অন্যরকম চরিত্রের জন্য অভিনেত্রী খুঁজছিলেন। আমার কাছে খবরটা আসে। এরপর অডিশন দিতে যাই। এবং আমার সিলেকশন হয়। তবে সৃজিতদা আমাকে যেহেতু চিনতেন না তাই একটু সন্দেহ ছিল যে আমি চরিত্রটা ঠিক মতো পারবো তো? তার থেকেও বড় ব্যাপার হল শটের দু'দিন আগে আমায় সৃজিত মুখোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন। আমি নম্বর জানি না। সে আমি তো ভয়ে কাঠ। কথাই বলতে পারছি না। আমি ভাবতেই পারছি না, সত্যিই আমি কাজ করতে চলেছি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে! বড় পাওয়া।

advertisement

সেই সন্দেহ কি দূর হল শেষ পর্যন্ত?

একদম। আমার কেকে মেননের সঙ্গেই কাজ ছিল সবটা। একটা বিছানার দৃশ্য ছিল। তা আমার শট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে ওই পজিশন চেঞ্জ না করতে কয়েকটা শট নেওয়া হবে। তা আমি শুয়ে রয়েছি। সৃজিত দা হঠাৎ আমার পায়ের কাছে এসে গোড়ালিতে হাত ঠেকিয়ে স্যালুট করার মতো বললেন অসাধারণ। একজন অভিনেত্রী সব রকম জড়তা কাটিয়ে অভিনয়টা দক্ষতার সঙ্গে করেছে, আর এটাকেই সম্মান জানিয়েছিলেন সৃজিতদা। আমার মনের মধ্যে একটা বাবার মতো ফিল হয়েছিল। ওইটুকুতেই মনে হয়েছিল যে ঠিক বাবার মতো কেউ পাশে আছেন। আমার কাছে ওটা সৃজিতদার আর্শীবাদ ছিল। এই যে পাওনা এটাই আমার কাছে সব থেকে বড়। আর কিছু চাই না। আমি  কাজ দিয়ে সব সন্দেহ দূর করে দিয়েছি।

advertisement

এখানে তোমার চরিত্রটা কেমন?

আমার চরিত্রটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। তার মধ্যে কেকে মেননের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা। আমি এখানে একজন যৌনকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। কেকে মেনন একজন মেয়েকে ভাড়া করে নিয়ে আসেন। এবং সেই মেয়ের মুখে পরিয়ে রাখে বিদিতার মুখোশ। কখনও মাথার পিছনে মুখোশ পরিয়ে উদ্যাম যৌনতায় মেতে ওঠে সে। নিজের সব রাগ ওই সময় বার করতে চায়। আর এই মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। যথেস্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল এই চরিত্রে কাজ করা। কিন্তু বিদিতার মুখোশ কেন পরিয়ে রাখতেন কেকে, তা জানতে হলে সিরিজটা অবশ্যই দেখতে হবে। তবে আমার সবটা দিয়েই চেষ্টা করেছি কাজটা ভালো করার।

advertisement

যৌন দৃশ্যে কেকে মেননের সঙ্গে কাজ করতে কতটা কমফোর্টেবল মনে হয়েছে?

আমি যে ওঁর সঙ্গে যৌন দৃশ্যে কাজ করছি, তা একবারও মনেই হয়নি। উনি বার বার শটের আগে প্রশ্ন করেছেন, 'তোমার কোনও অসুবিধা হচ্ছে না তো? এবং ওই দৃশ্যে শ্যুটিং যে কত সহজে হয়েছে তা বলার নয়। নিজেই সবটা খেয়াল রেখে কাজ করেন। একটু আনইজি লাগেনি। উল্টে সেটের সবাই আমায় মজা করে বলতো, তুই কি লাকিরে কেকে মেননের বুকে শুতে পেরেছিস। (বলেই খিল খিল করে হেসে উঠলেন মৌমিতা)

advertisement

কেকে মেননের সঙ্গেও তো এটাই প্রথম কাজ?

হ্যাঁ, প্রথম তো বটেই। আমি এই সুযোগ পাব কখনও ভাবিইনি। মজার বিষয় হল কেকের সঙ্গে যখন শ্যুট করছি তখন আমার চুল একদম ছোট। এবার আমার মাথায় লম্বা চুল লাগানো হয়েছে। শ্যুটের পরে আমি উইগ খুলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ সেখানে কেকে এলেন। আমি বললাম, হায় স্যর। তা উনি তো আমায় বড় চুল, অন্য মেক-আপে দেখেছেন। ছোট চুল, ফ্রক পরা মেয়ে দেখে উনি চিনতেই পারেননি। বললেন, আমি কি তোমায় চিনি? হাসতে হাসতে বললাম, 'কেয়া স্যর দো দিনসে মেরে সঙ্গ শ্যুট কিয়া আপনে?" চমকে গিয়ে বলছেন ও ওটা তুমি? সরি আমি তোমায় এই লুকে একেবারেই চিনতে পারিনি। তারপর শুরু হল আড্ডা। আমি আর কেকে স্যার শ্যুটিংয়ের মাঝেই গল্প করতাম। ১৭ তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে স্যরের সঙ্গে আড্ডা আমি ভুলতে পারবো না।

কেমন মানুষ কেকে মেনন?

অসাধারণ। উনি ওই দু'দিনে আমার জীবনের সব কিছু জানতে চেয়েছেন। আমি কোথা থেকে এসেছি। আমার স্ট্রাগল, সব গল্প শুনলেন। তারপর বললেন আমায় বাংলা শেখাও তো দেখি। এবার মাঝে মধ্যেই নানা শব্দ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। উনি সব কিছু লিখেও নিতেন। এমন অভিনেতা আমি দেখিনি সত্যিই। 'রে'-তে কাজের সুযোগ না পেলে কখনই ওঁর সঙ্গে কাজ করা হত না হয়ত।

এর পর কি কাজ আছে হাতে?

একটা বড় কাজ রয়েছে। তবে এখুনি আমি সেটা বলতে পারবো না। কিন্তু একটা জিনিস বুঝেছি, কাজ করতে এসে। তা হল তুমি যদি ভালো কাজ কর, তাহলে তুমি কোথা থেকে এসেছ ম্যাটার করে না। তোমার কাজই তোমার পরিচয় হয়ে উঠতে পারে। আমি মুর্শিদাবাদের মেয়ে। লড়াই একেবারেই অন্য ছিল। কিন্তু এখন আমার কাজই আমার পরিচয়।

করোনা, লকডাউন এসব কেমন করে কাটছে?

করোনাতে জীবন তো নাজেহাল হয়েই আছে। তবে আমার জীবনে আমার ছানারা সব। আমার কাছে এখন তিনটে কুকুর ছানা রয়েছে। দু'দিন আগেই আমার আদরের প্ল্যাটি ছেড়ে চলে গেছে। আর এখন 'রে' রিলিজ করল। আমি জানি না আমি কাঁদব না আনন্দ করব। অদ্ভুত একটা ডিলেমা হচ্ছে। সন্তান চলে যাওয়ার যন্ত্রণা কাউকে বোঝানোর নয়। এই ছানাগুলোই আমার সব। ওদের জন্য আবার লড়তে হবে আমায়। করোনা তো এসেছেই জীবনে। তবে আমি হেরে যায়নি। উঠে দাঁড়িয়েছি।

নতুন কিছু প্ল্যান?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

হ্যাঁ আমি গত দেড় বছর ধরে একটা কাস্টিং কোম্পানি করেছি। আমার বন্ধু সৌম্যদ্বীপ চক্রবর্তীর সঙ্গে। 'বেঙ্গল কাস্টিং হাব'। নতুন ছেলে মেয়ে যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে তারা যাতে নিজের যোগ্যতায় কাজ পায়, সেই ভাবনা থেকেই করা এই হাউজ। কলকাতার কাজের পরিবেশ বদলে দেওয়ার একটা লড়াই চালাচ্ছি আর কি।

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
বিনোদন জগতের লেটেস্ট সব খবর ( Entertainment News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ বলিউড, টলিউড থেকে হলিউড সব খবরই পাবেন এখানে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন ন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Ray: কেকে মেননের বুকে শুয়ে শ্যুট ! সৃজিতের স্যালুট ! 'রে'- নিয়ে আড্ডায় মৌমিতা পন্ডিত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল