প্রশ্ন: একাঙ্ক নাটকে অভিনয় আপনার স্বপ্ন ছিল, সেইদিক থেকে ২০ শে মার্চ কী স্বপ্নপূরণ?
উত্তর: হ্যাঁ স্বপ্নপূরণ। আমার অনেকদিনের খিদে ছিল কোনওদিন যদি একটা একক করতে পারি। অনেককে দেখেছি একক করতে, অনেক প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের একক দেখে অভিনয় শিখেছি, তখন থেকেই মনের মধ্যে ইচ্ছেটা ক্রমশ বেড়েছে। এই ধরনের একটা চরিত্রে অভিনয় করা। সেদিক থেকে সত্যিই এটা আমার স্বপ্নপূরণ।
advertisement
প্রশ্ন: সিনেমা, টেলিভিশন, থিয়েটার সব মাধ্যমেই আপনি অনেকদিন থেকে অভিনয় করছেন, একটা একক করতে এতটা সময় লাগল কেন?
উত্তর: কোনও অভিনেতা তো নিজে থেকে কিছু করতে পারে না, তাকে সুযোগ পেতে হবে তা সে যে মাধ্যমেই অভিনয় করুন না কেন। আমাকে যতক্ষণ না সুযোগ দেওয়া হচ্ছে আমি কাজটা করব কী করে। আমি সময়ে বিশ্বাস করি। সময়ের আগে কিছুই হয় না। হয়তো এটা আমার সময় এই সময়ের জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর এতদিন কেন আমাকে কোনও একক করার সুযোগ দেওয়া হয়নি, সেটা ডিরেক্টররা আরও ভাল বলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ইউভানকে সঙ্গে নিয়ে সবান্ধব ছুটি কাটাচ্ছেন রাজ-শুভশ্রী, দেখুন রাজস্থান ভ্রমণের নানা মুহূর্ত...
প্রশ্ন: নাটকে হারমাচিস একজন মসীহা। যিনি সবার ভাল করতে চান। মসীহা হওয়ার লোভ বা এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার লোভ তো থাকেই।
উত্তর: ভাল চরিত্রে অভিনয় করার লোভ যে কোনও অভিনেতার থাকে। তবে এই নাটকে হারমাচিসকে মসীহা হিসেবে দেখানো হলেও সে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি।
প্রশ্ন: যতদূর জানি ‘হারমাচিস’ মিশরের গল্প!
উত্তর: একদম। এই চরিত্রের মধ্যে আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলাম। আমার বর্তমান জীবনের মিল খুঁজে পেয়েছিলাম। সেখানকার রাজনীতি, প্রেম, ভালবাসা, ব্যর্থতা, সাফল্য সবকিছুর মধ্যে কোথাও আমার দেশের বর্তমান সময়েরও মিল খুঁজে পেয়েছিলাম। এটাই আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছিল। হারমাচিসের ওপর পুরো মিশরবাসী ভরসা করেছিল। অপেক্ষা করে ছিল স্বাধীনতার। কিন্তু শেষরক্ষা হয় নি। ক্লিওপেট্রার প্রেমে পড়ে সে। লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয়। শেষে শাস্তি পায় সে।
আরও পড়ুন: সিঁথি ভর্তি সিঁদুর, শাঁখা-পলা, গয়না-বেনারসিতে ক্যানসার জয়ী নায়িকা ঐন্দ্রিলা, বিয়ের সানাই বাজল?
প্রশ্ন: গত দুবছর আমরা একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। থিয়েটারও কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে, অনেক নাট্য ব্যক্তিত্ব থিয়েটারের পাশাপাশি সিরিয়ালে ফিরেছেন, সিনেমায় ফিরেছেন, এই সময়ে আপনি আবার থিয়েটারে ফিরলেন, থিয়েটারের রসদটা কী, যা বারবার ফিরিয়ে আনে?
উত্তর: আমি থিয়েটার করি তার কারণ থিয়েটার আমাকে প্রাণ দেয়। একজন অভিনেতাকে তৈরি হওয়ার সুযোগ দেয়। দীর্ঘদীন এক কাজ করতে করতে বাইরেটায় যখন মরচে পড়ে, থিয়েটার তাকে আবার শান দিয়ে চকচকে করে দেয়। মঞ্চ যে শিক্ষা দেয়, তা আর কোনও মাধ্যম দিতে পারবে না। যারা অভিনয়ে জায়গা ধরে রাখতে পেরেছেন, তাঁরা অবশ্যই থিয়েটার থেকে এসেছেন। আগেও যাঁরা সিনেমার স্টলওয়ার্ড ছিলেন, তারা সিনেমায় আভিনয় করার পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করতেন। কারণ একটাই নিজেকে আর একটু ঝালিয়ে নেওয়া। এই কারণেই থিয়েটারের কাছে বারবার ফিরে আসা।
প্রশ্ন: প্যানডেমিকের কারণে থিয়েটার বড় ক্ষতির মুখে। আপনার কী মনে হয় থিয়েটারের ভবিষ্যৎ কী?
উত্তর: সব মাধ্যমই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার রিভাইবও করেছে। থিয়েটারও আবার সব খরা কাটিয়ে আগের জায়গায় ফিরে যাবে।
Syamasri Saha