সৃজিত বলছেন আপনাকে ফোন করেছিলেন? ধরেননি?
বলছে যখন করেছে নিশ্চয়। তবে আমার ফোনে তিনটে সৃজিতের নম্বর সেভ করা আছে। আমি একটা ভিডিও গেমের মিউজিক করছি। খুব ব্যস্ত। তার মধ্যে একটা ফোন এসেছে বটে। সে সময় ধরা হয়নি। কেন এটা নিয়ে আবার কি হল?
না, উনি বলছেন সৌজন্য ফোন করেছিলেন?
তাই ! আচ্ছা বেশ। কিন্তু একটা প্রশ্ন আছে? গতকাল আমি একটা পোস্ট করলাম ফেসবুকে। তারপরেই ফোনটা কেন করার দরকার হল? তাছাড়া আমি তো কারও নাম নিয়ে কিছু লিখিনি। আমার 'X= Prem' সে সময় মানুষকে বোঝাতে যে সমস্যা হয়েছিল সেটাই লিখেছি। আজকালকার মানুষ এই ভাবনা বুঝছে। ব্যস এটাই। এই ছবিটা তো রাতারাতি ঠিক হয়নি নিশ্চয় ! অনেক দিন ধরে ভাবা হচ্ছে। আমি পোস্ট করার পর সৌজন্য ফোনের কি কোনও দরকার আছে? এটা তো আমার তাহলে আগেই জানার কথা ছিল।
advertisement
'শব্দ'- বা একটা জনপ্রিয় নাম 'X= Prem'। তাতে কি কোনও অধিকার নেই?
আরে শব্দ কারও বাবার নাকি ! এখন 'তোমাকে চাই' নামের সিনেমা হতেই পারে। কেউ কাউকে কিছু বলবে নাকি ! ওসব দিন আর নেই ! শব্দ যখন বাবার নয়, নিয়ে নিলেই হল। তবে কিছু শব্দ ব্যতিক্রম হয়। যেমন 'X= Prem'। এই শব্দ তো নতুন করে লোককে চেনাতে হবে না। সবাই চেনে। ভালোই হল আমার এই নাম আরও মানুষ জানবে। তবে শুধু 'X= Prem' কেন? আমার 'সর্বনাশ', 'ফিসফিস' সব নিয়ে নিক না। সবই তো আমার করা। লোকে আরও বেশি করে জানবে। ভালো বেশ বড় ব্যাপার। ওসব সৌজন্য ঠৌজন্য করার দরকার নেই ! কি বলবো আর।
'X= Prem' চুরি নয়, ইমপা থেকে এই নাম সৃজিত পেয়েছেন বলছেন? সেখানে কোনও অসুবিধা হয়নি।
আমি তো বলিনি চুরির কথা। 'চুরি নয়, 'ইমপা' এসব কথা আসছেই বা কেন? আমি তো কোথাও এই বিষয়ে কিছু বলিনি। নিজে থেকেই বলার কি মানে ! সব থেকে বড় কথা আমি তো আমার অ্যালবাম নিয়ে পোস্ট দিয়েছি। কিন্তু তা এত গায়ে কেন লাগছে রে বাবা ! এখন আমার গান 'ঝিন্টি' এই নামে কত বাবাই নিজের মেয়ের নাম রেখেছে। আমি গিয়ে বলবো না, না, ওটা আমি ভেবেছি। মেয়ের এই নাম রাখা যাবে না। আমার ভক্তরা আমার এমন নাম অনেক নিয়েছে। তাঁদের জীবনে ছড়িয়ে রয়েছে। তবে সিনেমা হয়নি।(বলেই একটু হাসলেন) । এবার আরও বড় কিছু হচ্ছে, হোক না।
ধরুন আপনি এই ছবিটা বানাচ্ছেন। আর অ্যালবামটা সৃজিতের আপনি কি ফোনটা করতেন?
(হা হা করে হাসলেন।) ওই সৌজন্য বোধটা আমার আছে। আমি জানি কি করতে হয়। যা হয়েছে তাঁর উল্টোটা হলে শিলাজিতের ফোনটা 'ফেসবুক পোস্টে'র পড়ে না, আগেই যেত। এখন আমি সৃজিতের ছবি 'হেমলক সোশ্যাইটিতে 'জল ফড়িং' গানটা গেয়েছিলাম। অনুপমের লেখা। তা আমি যদি 'জলফড়িং' নামটা নিয়ে কিছু করি, আমি তো অবশ্যই অনুপমকে জানাব। তাই না ? এটাকেই বোধহয় বলে সৌজন্য বোধ।
আপনার সঙ্গে তো সৃজিতের ভালো সম্পর্ক?
নিশ্চয়। ওকে ২০০৭ সাল থেকে চিনি। তবে ২০০৭ আর ২১ -এর মধ্যে তফাৎ আছে। এখন তো সব বড় বড় ব্যাপার ! শিলাজিৎটা আবার কে? ও কেউ না। সৃজিত খুব ভালো ছেলে। ফাটিয়ে কাজটা করুক। সিনেমাটা জমিয়ে হোক। এটাই বলবো। আমার তো সত্যিই ওর থেকে কিছু চাওয়ার নেই। আর থাকবেই বা কেন? তবে হ্যাঁ একটা জিনিস শিখলাম, তা হল এবার থেকে কিছু ভাবলে তা নিজের করে রাখবো। জিনিসটা বা নামটা যদি আমার পেটেন্ট হত, তাহলে এখন দেখছি অনেক লাভ। ভালো বেশ ব্যাপারটা।
আপনি ফোন করে গালাগাল করতেই পারতেন, এমনটাও বলছেন পরিচালক?
কেন? আমি গালাগাল কেন করবো? আর ফোনটা তো আমার করার কথা নয়। ফোনটা অনেক আগেই আসার কথা, তাই না! ভাইয়ের মতো করে গালাগালি করার বিষয় তো এটা নয়। তাছাড়া আমি কে? কেউ না! তাই আমাকে জানাবারই কি প্রয়োজন। আর ধরে কি বলতাম। 'বাহ বাহ' এই তো? থাক না কিছু ফোন না ধরাই। আনন্দ হচ্ছে একটাই শিলাজিৎ যা ২১ বছর আগে ভাবে, মানুষ এখন সেটাই খাচ্ছে। খা খা ! (বলেই ফের হাসি।)