অভিনয় জগতে পা দেওয়ার পর তাঁকে উপদেশ দেওয়া হয়, তিনি যেন নিজের গায়ের রং ফর্সা করতে একটি বিশেষ ইঞ্জেকশন ব্যবহার করেন। এষা এখন সেই কথাগুলি মনে করে আক্ষেপ করেন, "কখনও কখনও আমি তাদের কথায় ভেসে যেতাম। কত বার যে নিজেই চেয়েছি ফর্সা হতে।" কিন্তু শেষ মেশ সেই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী।
advertisement
তবে সেই সময়ে অনেক বার ফর্সা হওয়ার লোভে সেই ইঞ্জেকশনগুলির দাম জানার চেষ্টা করতেন এষা। একটি শটের দাম ছিল ৯ হাজার টাকা!
কেবল ফর্সা হওয়া নয়, তাঁকে এমনও বলা হয়েছিল, বলিউডে নায়িকা হতে গেলে শরীরে কাঁটাছেঁড়া করাতে হবে। অস্ত্রোপচার করিয়ে নাক টিকলো করানোর উপদেশ দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল, তাঁর নাক গোল। যা নাকি দেখতে খারাপ লাগে।
আরও পড়ুন: মুক্তোর কেশসজ্জায় সাদা পোশাকের উড়ান, দেখুন আসন্নপ্রসবা সোনমের সাজ
এষার কথায়, ''আমি তাঁদের নাম নেব না। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিক নায়িকা ইঞ্জেকশন নিয়ে ফর্সা হয়েছেন। তাঁদের দোষ নয়। কারণ নায়িকাদের উপর এই মানসিক চাপ বার বার দেওয়া হয়। তাঁদের বিশ্বাস করানো হয় যে তাঁরা সুন্দরী নন, বা তাঁদের শরীরে খুঁত রয়েছে। নিখুঁত হওয়ার প্রতিযোগিতায় পা দিয়ে ফেলেছেন তাঁরা।''
এষা জানালেন, তিনি তাঁর মেয়েকে কোনও দিনও অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে চান না। তাঁর আশঙ্কা, তা হলে খুব ছোট থেকেই নিখুঁত হওয়ার জন্য ছুটতে হবে তাকে। সত্য জীবন ছেড়ে মিথ্যে জীবন যাপন শুরু করতে হবে নয়তো। এষার ইচ্ছা, তাঁর মেয়ে অ্য়াথলেট হোক।
আরও পড়ুন: কখনও শর্টস, কখনও ঢিলেঢালা মিনি ড্রেস! অবসরে কেমন থাকেন 'ফ্যাশনিস্তা' করিনা কাপুর খান
২০১২ সালে 'জন্নত ২' ছবি দিয়েই বলিউডে পা রাখেন এষা। সে বছরই পরিচালক প্রকাশ ঝা-র 'চক্রব্য়ূহ'-তে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। সম্প্রতি সেই নায়িকা 'আশ্রম ৩' ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন।