রবীন্দ্রনাথের জীবনে মৃত্যু এসেছে বার,বার। সেই ছেলেবেলা থেকেই মৃত্যুর সাথে তাঁর পরিচয়। জীবনস্মৃতি লিখতে গিয়ে বর্ণনা করেছেন মা এর মৃত্যুর সেই শেষযাত্রার মুহূর্ত গুলো। পরে প্রিয় বৌঠানের চলে যাওয়া, একে, একে সন্তানদের মৃত্যু, কাছের সতীর্থদের প্রয়াণ কবির লেখনীকে আরো পরিণত করেছে। গানে ধরা দেয় গভীর জীবনবোধের অভিব্যক্তি। সেই গান নানা ভাবে আমাদের জীবনে উত্তরণের পথ দেখায়। মন খারাপের দিনে মনে বল যোগায়। এই সন্ধ্যা শ্রাবণের ধারার সাথে মিশে সেই সব ব্যাথা গুলোকে রসে সিক্ত করবে, মনকে নিয়ে যাবে এক অজানালোকে।
advertisement
বিশিষ্ট ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীক্ষামঞ্জরী-এর ছাত্র-ছাত্রীরা , রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী তথা দক্ষিণায়ন ইউকে-এর প্রাণপুরুষ ডাঃ আনন্দ গুপ্ত নিবেদন করবেন এই নৃত্য-গীতি আলেখ্য।করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলে কলকাতায় এবং শান্তিনিকেতনে ডাঃ আনন্দ গুপ্ত, ডোনা গাঙ্গুলির যৌথ প্রচেষ্টায় নিবেদিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য মায়ার খেলা। এবার লন্ডন থেকে দেশে পাড়ি জমাবেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে।
আরও পড়ুন - India's medal in Commonwealth Games 2022: তৈরি ইতিহাস, প্যারা পাওয়ার লিফটিংয়ে সোনা, লং জাম্পে এল রুপো
ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে," এমন একটা দিন যা আপামর বাঙালির কাছে একটা মন ভার করে। উনি মৃত্যুকে অনেক কাছ থেকে বারে,বারে দেখেছেন।করোনা কালে আমরাও অনেক প্রিয়জনকে হারিয়েছি।উনি যে মনের জোর এর পরিচয় দিয়েছেন সেই সব কঠিন মুহূর্তে, এখন আমরা তাঁর থেকে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।কঠিন সময়কে লড়ার শক্তি পাচ্ছি। "
আরও পড়ুন - Ajker Panjika : পঞ্জিকা ৫ অগাস্ট: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল
ডাঃ আনন্দ গুপ্ত বলেন," আসলে মৃত্যুই জীবনের অন্যতম বড় সত্যি। এটাকে সহজে মেনে নেওয়ার জন্য যে জীবন বোধ প্রয়োজন তা ওঁর গানে পাওয়া যায়।সেই জীবনীশক্তিকেই আমরা উদযাপন করব।" কলকাতায় হয়ে গেল রিহার্সাল। উপস্থিত ছিলেন ডোনা গঈ্গোপাধ্যায় ও ডাঃ আনন্দ গুপ্ত সহ সব নৃত্যশিল্পীরা।
Manash Basak