জানা গিয়েছে, গত মে মাস নাগাদ জোর কদমে তদন্ত শুরু করে জিএসটি কাউন্সিল। জিএসটি কাউন্সিল এ বিষয়ে বিজয়কে চিঠি পাঠালেও সেই চিঠির উত্তর দেননি বিজয়। এমনকী তাঁদের সঙ্গে পরিচালক কোনও প্রকার সহযোগিতাও করেননি বলে জানানো হয় সংস্থার তরফে।
বিজয় গুট্টের কোম্পানি ভিআরজি ডিজিটাল কর্পের বিরুদ্ধে হরাইজন আউটসোর্স সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থার কাছ থেকে অ্যানিমেশন ও কায়িক শ্রম পরিষেবা বাবদে ‘জাল চালান’ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। হরাইজন আউটসোর্সের বিরুদ্ধে ১৭০ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই সংস্থার কেন্দ্রীয় সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছে।
advertisement
আদালতের নথি থেকে জানা গিয়েছে, বিজয় গুট্টের কোম্পানি জাল জিএসটি চালানের ভিত্তিতে সরকারের কাছ থেকে ২৮ কোটি টাকা রিটার্ন চেয়েছে।
বিজয় গুট্টেকে সিজিএসটি আইনের ১৩২ (১) (সি) ধারা অনুসারে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজয় গুট্টের বাবা রত্নাকর গুট্টে পারভানি জেলার গঙ্গাখেড় থেকে ২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে সে ভোটে হেরে যান তিনি।
আইনানুসারে কর ফাঁকি দিয়ে ৫ কোটি টাকার বেশি রিটার্ন নিলে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে অভিযুক্ত বিজয় রত্নাকর গুট্টে তদন্তে সহযোগিতা করেননি। .
তদন্ত থেকে আরও জানা গিয়েছে, বিজয় গুট্টের ভিআরজি ডিজিটাল কর্প, হরাইজন আউটসোর্সের অন্যতম ক্লায়েন্ট। গুট্টের কোম্পানি হরাইজনের কাছ থেকে ২৬৬ কোটি টাকার পরিষেবা নিয়েছে বলে দেখানো হয়েছে, যার জিএসটি-র পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। আদতে তারা কোনও পরিষেবাই হরাইজনের কাছ থেকে নেয়নি।
বিজয় গুট্টে এ পর্যন্ত তিনটি ছবি পরিচালনা করেছেন, ইমোশনাল অত্যাচার, টাইম বড়া ভেইট এবং বদমাশিয়াঁ। অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার দিয়েই পরিচালনায় হাতেখড়ি বিজয় গুট্টের। সঞ্জয় বারুর বইকে ভিত্তি করেই এই ছবি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ভূমিকায় এ ছবিতে অভিনয় করছেন অনুপম খের। প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া অ্যাডভাইসর সঞ্জয় বারুর ভূমিকায় রয়েছেন অক্ষয় খান্না। আগামী ডিসেম্বরে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা।