কাদের পাশে দাঁড়তে চান দেবজ্যোতি ? নির্দিষ্ট কোনও বিপর্যয় বা এলাকা তিনি উল্লেখ করেননি ৷ বরং বলেছেন, গ্রাম গঞ্জ মফস্বল জুড়ে কেমন আছেন সাধারণ মানুষ? দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা ৷ কীভাবে বাঁচছেন মানুষ ? বা আদৌ বাঁচছেন কি? উত্তরে খোঁজে পথে নেমেছেন পথবন্ধুরা ৷
পথে করুণ অভিজ্ঞতার সাক্ষী দেবজ্যোতি ৷ দেখলেন, অসংখ্য মনুষ আজ পথবাসী ৷ সঙ্গে খাবার, জল কিছু নেই ৷ মানসিক দিক থেকে তাঁরা প্রকৃতস্থ নন ৷ এঁরা কিন্তু ভিক্ষাজীবী নন ৷ প্রথমেই বলেছেন দেবজ্যোতি৷ তাঁর কথায়, খিদে পেলে ভিক্ষাজীবীরা হাত পাতেন ৷ কিন্তু তিনি যাঁদের দেখেছেন, তাঁরা খিদেতৃষ্ণার অনুভূতি হারিয়েছেন ৷ যেন খাবার চাইতেও ভুলে গিয়েছেন ৷ আর চাইবেনই বা কোথায়? লকডাউনে চারদিক স্তব্ধ ৷ তাঁদের পাশে দাঁড়াতে মানবিক উদ্যোগে সামিল দেবজ্যোতি ৷ খাবার নিয়ে হাজির গ্রাম মফস্বলের সীমানা পেরিয়ে বিপন্নদের কাছে ৷ শুধু খাবার তো একমাত্র প্রয়োজন নয় ৷ দেবজ্যোতি দেখেছেন, তাঁদের অনেকের কাছেই পোশাকও নেই ৷ উলঙ্গ বা অর্ধউলঙ্গ ৷ আবার অনেকের হয়তো স্নান হয়নি বেশ কিছু দিন ৷ তাঁদের স্নান করিয়ে পরিষ্কার জামাকাপড় পরিয়ে হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে খাবার ৷
advertisement
কিন্তু এখন তো ঘরে থাকার সময় ৷ এখন পথে কেন? এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন দেবজ্যোতির-যদি সকলে ঘরে থাকেন, তা হলে এই দুর্গতদের পাশে কারা থাকবেন? চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘরে বসে থাকলে কারা সুস্থ করে তুলবেন বাকিদের? প্রশ্ন সঙ্গীত পরিচালকের ৷
এই দুঃসময়ে দেবজ্যোতিও পথেই থাকতে চান পথবন্ধু হয়ে ৷ সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, তাঁরাও তাঁর পথের সাথী হতে পারেন ৷
বন্ধুকেই তো পথের সাথীকে চিনে নেওয়ার জন্য বলা যায় ৷
