'কাটি পতঙ্গ', 'দিল দেকে দেখো', 'তিসরি মঞ্জিল'-এ পর্দায় ম্যাজিক তৈরি করেছেন সেই আশা। ১৯৬০-'৭০ দশকে তিনিই ছিলেন হার্টথ্রব।
অনেক ছোট থেকে অভিনয় শুরু করেছিলেন আশা। শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা গিয়েছিল 'মা' (১৯৫২) এবং 'বাপ বেটি' (১৯৫৪) ছবিতে। তখন তিনি বেবি আশা পারেখ নামে জনপ্রিয় ছিলেন। যৌবন পেরিয়ে প্রথম যে ছবিতে তিনি কাজ করেন, তা হল 'দিল দেকে দেখো'।
advertisement
সেই থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি আশাকে। একের পর এক হিট ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
আরও পড়ুন: শাড়িতে শিহরণ, 'বাহুবলী' খ্যাত তমান্নার জাদুতে বুঁদ নেটদুনিয়া,দেখুন সুন্দরীর ভাইরাল সব ছবি
কিন্তু আশার পরিচয় কেবল অভিনেত্রী নয়। ১৯৯৫ সালে 'আন্দোলন'-এ অভিনয় করার পর তিনি এই পেশা ছেড়ে দেন। '৭০-এর সুন্দরী ক্যামেরার সামনে থেকে পিছনে চলে আসেন।
গুজরাতি ধারাবাহিক 'জ্যোতি' টেলিভিশন ধারাবাহিকের নির্দেশনা দিয়েছেন আশা। এ ছাড়া নিজের প্রোডাকশন হাউস থেকে একাধিক ধারাবাহিক প্রযোজনা করেছেন।
আরও পড়ুন: সেরা ১৫-এ ৭ বাঙালি! Indian Idol-র মঞ্চে বাংলার জয়জয়কার
নিজের গোটা জীবন শুধু কাজের জন্যই উৎসর্গ করেছিলেন যেন। সংসারও পাতেননি তিনি। বিয়ে না করার জন্য নানা সময়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। কিছু দিন আগে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ''বিয়ে করা আমার ভাগ্যে লেখা ছিল না বলেই হয়নি। বিয়ের ইচ্ছা ছিল আমার। সন্তানও চেয়েছিলাম।কিন্তু কপাললিখন কে টলাতে পারে? বিয়ে না হওয়াই লেখা ছিল আমার কপালে। যদিও তার জন্য কোনও আফশোস নেই আমার।''
২০১৯ সালে রজনীকান্তকে দাদাসাহেব ফালকে দেওয়া হয়। এ বার ২০২০ সালের নিরিখে সেই সম্মানে সম্মানিত হলেন আশা।