নাফিসা আলি বর্তমানে গোয়ার একটি হাসাপাতলে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের বেড থেকেই নিজের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ৬৪ বছর বয়সী বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লেখেন, '' ভাবুন, আমার হাসপাতালের বেডের নম্বর-ও আমার লাকি সংখ্যা ৭! খুব জ্বর, গলা ধরে আছে, কিন্তু গোয়ার তুখড় চিকিৎসা ব্যবস্থায় এখন অনেকটাই ভাল আছি। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরে যেতে পারব, সেখানে আইসোলেশনে থাকব।''
advertisement
অরিজিৎ সিং ফেসবুকে জানান, তিনি ও তাঁর স্ত্রী কোয়েল রায় কোভিডে আক্রান্ত। তবে, এখন ভাল আছেন, বাড়িতেই নিজেদের কোয়ারেন্টাইন করে নিয়েছেন।''
মানবী গাগরু ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন ,'' আমার কোভিডের উপসর্গ মৃদু। খুব ঘুম পাচ্ছে।''
শনিবার পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের-ও কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি ইনস্টাগ্রামে নিজের করোনা সংক্রমণের কথা জানিয়ে লেখেন, '' দুটো টিকাই নিয়েছিলাম, তবু করোনার কবলে! তবে, উপসর্গ খুব মৃদু। আইসোলেশনে রয়েছি! বিগত কিছুদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন দয়া করে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। সবাই সুস্থ থাকুন, কোভিড-বিধি মেনে চলুন।''
দেশে ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজারের গণ্ডি। আজ নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ১,৪১,৫২৫ জন। সংক্রমণের হার বেড়েছে ২১ শতাংশ। এ দিকে, আজ থেকেই বুস্টার ডোজের জন্য শুরু হয়ে যাবে রেজিস্ট্রেশন। হাতে আর বেশি সময় নেই। দিন দশেক পরেই সংক্রমনের শীর্ষে পৌঁছে যাবে মুম্বই এবং দিল্লি। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে শেষের মধ্যে সংক্রমণ মারাত্বক আকার নেবে, এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন আইআইটি কানপুরের (IIT Kanpur) অধ্যাপক মনীন্দ্র আগরওয়াল।
তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে যেমনটা হয়েছিল, এ বারে তেমন আকার ধারণ করার সম্ভাবনা নেই। মুম্বই এবং দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ ছুঁয়ে ফেলবে ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ গণ্ডি। তাঁর দাবি, মার্চের পরে সংক্রমণের সেই দাপট থাকবে না দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইতে সংক্রামিত হয়েছেন ২০,৯৭১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে সংক্রমণ শুরু হয়েছিল দিন কয়েক আগেই। আজ সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১৫০। দেশের সব রাজ্য মিলিয়ে জানুয়ারির শেষে সংক্রামিতের সংখ্যা পৌঁছে যাবে দৈনিক ৪ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষে। যা শুনের ঘুম উড়েছে চিকিৎসকমহলের। অধ্যাপকের দাবি, এই সংক্রমণের হার শুধুমাত্র কঠোর লকডাউনের মাধ্যমেই রোধ করা সম্ভব। লকডাউনে সংক্রামিতের সংখ্যা কমবে।