তবে এই বন্দিদশা বেশ আনন্দেরই। কারণ সেই বন্দিদশাতেই তৈরি হয়েছে শিল্প। 'হাওয়া' সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে সেখানেই। কিন্তু তার জন্য এতগুলো দিন ধরে পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না চঞ্চল চৌধুরী বা আর কারও। আর সেই অভিজ্ঞতার কথাই নিউজ18 বাংলাকে জানালেন চঞ্চল।
আরও পড়ুন: 'কারাগার'-এর রহস্য ফাঁস! বন্দি চঞ্চল আসলে কে, বড় ইঙ্গিত মিলল ২য় সিজনের ট্রেলারে
advertisement
আরও পড়ুন: 'কলকাতায় যে এমন একটা জায়গা আছে, বাবাও জানতেন না', ঈশানের 'ঝিল্লি' চমকে দেয় গৌতমকে
তাঁর কথায়, "অন্য কোথাও শ্যুটিং হলে আমরা মাঝে বিরতি পেলে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারি। কিন্তু সেন্ট মার্টিনসে যাওয়ার আগেই আমাদের পরিচালক বললেন, ''এই যে আমরা রওনা দিচ্ছি, একেবারে কাজ শেষ করে ফিরব।'' মাঝে কোনও বিরতি নেই। একটানা সেটের মধ্যেই যেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এটাকে রেকর্ড বলা যেতে পারে।"
সেই প্রসঙ্গেই চঞ্চলের কথায় তাঁর পিতৃসত্তা ফুটে উঠল, ''এর আগে যতবার আমি দেশের বাইরে গিয়ে শ্যুট করেছি, বা মঞ্চে অভিনয় করতে গিয়েছি, ফিরে এসে দেখেছি, ছেলে অসুস্থ হয়েছে। সেই নিয়ে বাড়িতে অশান্তিও লাগত। আর এখন ছেলেটা বড় হচ্ছে। কিন্তু এখন আমিই আর ১০-১৫ দিন একটানা ওকে ছেড়ে থাকতে পারি না।''
তবে চঞ্চল-পুত্র 'হাওয়া' ছবিটি দেখেছেন। বাবা এত দিন কোথায় ছিলেন, কেন ছিলেন, তা এখন তাঁর কাছে স্পষ্ট। বাবার জন্য এখন সে খুবই গর্বিত। ভালবাসে বাবাকে পর্দায় দেখতে। এখন আবার বাইরে থাকলে প্রতিদিন বাবা তাঁর ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। শুধু তা-ই নয়, রোজের কাজের আপডেট দিতে হয় ছেলেকে। এমনকি শ্যুটিং স্পট থেকেও ছেলেকে কাজ সম্পর্কে খবর দেন চঞ্চল।