ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র পৃথা আর সমীরণের মেয়ে রুমি। ১৬ বছরের জন্মদিনের আগে থেকে একটু একটু করে বদলে যায় হাসিখুশি রুমির আচরণ। যে রুমি ভাইয়ের সঙ্গে মজা করে, বন্ধু আরিয়ানের সঙ্গে খুনসুটি করে, জন্মদিনের পার্টিতে ধরা দেয় তার এক অন্য রূপ। বিয়ারের নেশা তাকে অস্থির করে তোলে, আরিয়ানকে সে বিব্রত করে চুম্বনে, ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে খুলে বলে চলা মা-বাবার শারীরিক অন্তরঙ্গতার বিবরণ। কেউ বুঝতে পারেন না যে এই আচরণ স্বাভাবিক নয়, এক হুডিতে মুখঢাকা ব্যক্তি রুমিকে অনুসরণ করে বাগানে পুঁতে দিয়ে গিয়েছে কালোজাদুর সামগ্রী !
advertisement
আরও পড়ুন– অভিনয় থেকে প্রযোজনা, সফল দুই বাঙালি অভিনেতার মাইক্রো সিরিজ মাতাতে চলেছে বছর শেষের মরশুম
রুমির গল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু বছর আগের মীনাক্ষীর কথাও। অন্তঃসত্ত্বা মীনাক্ষী লোকলজ্জা থেকে বাঁচতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করে নিয়েছিল। বাবা মঞ্জুনাথ চেষ্টা করেও মেয়েকে বাঁচাতে পারেননি। মীনাক্ষীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল স্যাম নামে জনৈক ব্যক্তির, এই স্যাম আর কেউ নন, রুমির বাবা সমীরণ! সুইট ১৬ এভাবেই দুই সময়ের দুই তরুণীর কাহিনি সমান্তরাল ধারায় তুলে ধরে। প্রশ্ন থেকে যায়- সমীরণ কী করেছিলেন মীনাক্ষীর সঙ্গে, কেন তাকে বেছে নিতে হয়েছিল আত্মহননের পথ! কীভাবে রুমির জীবন স্বাভাবিক হবে, মীনাক্ষী আর মঞ্জুনাথের প্রতিশোধস্পৃহাই বা কীভাবে চরিতার্থ হবে, তা জানতে এই বুলেট মাইক্রোড্রামা দেখতেই হবে!
মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজিতা বন্দ্যোপাধ্যায় (রুমি), কৌশানি মুখোপাধ্যায় (মীনাক্ষী), সৌম বন্দ্যোপাধ্যায় (সমীরণ), দেবপর্ণা পাল চৌধুরি (পৃথা) এবং বিশ্বজিৎ দাস (মঞ্জুনাথ)। এই বুলেট মাইক্রোড্রামার গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সৌভিক কুন্ডু, সঙ্গীত দিয়েছেন প্রাঞ্জল দাস। ইতিমধ্যেই তা স্ট্রিম হচ্ছে, প্রশংসাও পেয়েছে দর্শকের। সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতারা তাঁদের পরবর্তী প্রজেক্টের কথাও ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন, শীঘ্রই যা উন্মোচিত হবে।
