তাঁর মেয়ে ও ড্রাইভারও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সকলেই করোনা মুক্ত এখন। মনের জোরে করোনাকে পরাস্ত করে নিজের বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে সানি টাওয়ারের ফ্ল্যাটে ফিরলেন সাহিত্যিক। এখানেই বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি থাকেন। তাঁর স্ত্রী ঋতু গুহ মারা গিয়েছেন অনেক দিন আগেই। তবে গোটা বাড়িতে সহধর্মিণীর স্মৃতি আকড়ে রেখেছেন বুদ্ধদেব গুহ।
advertisement
করোনা হওয়ার পর তিনি জানিয়েছিলেন, "এখনই ফুরব না।" ৮৪ বছর বয়সে সে কথা রাখলেন তিনি। তাঁর অসুস্থতার খবরে শোকের ছায়া নেমেছিল সাহিত্য জগতে । কিন্তু সকলকে স্বস্তি দিয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়েও একবারও মনের জোর হারাননি লেখক। বেডে শুয়ে গান পর্যন্ত গেয়েছেন তিনি। আজ তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, " তেত্রিশ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রিয় লেখক। কোভিড ও নিউমোনিয়াকে হারিয়ে, দু-দুখানা মৃত্যু গুজবকে সরিয়ে, বুদ্ধপূর্ণিমায় বাড়ি ফিরলেন তিনি। এখনও দুর্বল। তাই এখুনি টেলিফোন না করাই ভালো।" এই পোস্টে বলা হয়েছে তাঁর শরীর এখনও দুর্বল। তিনি এই মুহূর্তে ফোনে কথা বলতে পারবেন না। তাই তাঁকে ফোন না করাই ভালো কয়েকদিন। তাঁর ভক্ত এবং ভালোবাসার মানুষদের জন্যই বলা হয়েছে এ কথা। এর মাঝ খানেই লেখকের দু'দুবার মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে সব খবর পেয়ে হেসেছিলেন তিনি। আজ তাঁর সুস্থতায় স্বস্তি নেমেছে। বহু মানুষ লেখককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সাহিত্য জগতের নক্ষত্র তিনি। তাঁর লেখার ভক্ত গোটা দেশেই রয়েছে। জঙ্গল থেকে প্রেম সবই যেন উঠে এসেছে তাঁর কলমে। জাদুতে ছোঁয়া তাঁর কলম।