বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুতে একাধিক স্বনামধন্য ব্যক্তিরা শোকপ্রকাশ করেছেন৷ টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা, একজন স্তম্ভ চলে গেল৷ অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন৷ একদিন হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছিলাম৷ আজ খুবই মনে পড়ছে ওই দিনটা যেদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এসেছিলেন আমার বিয়েতে এবং আমাকে আশীর্বাদ করে গিয়েছিলেন৷ আসলে এই সব মানুষরা বিরল, তাঁদের ত্যাগ, মানসীকতা, শিক্ষা আমাদের সমাজকে সবসময়েই উর্বর করেছে৷ আমাদের অনেক বেশি আলোকিত করেছে৷ আজকে ওঁনার মতো একজন শিক্ষিত মানুষ আজ আমাদের মধ্যে থেকে চলে গেলেন ঠিকই কিন্তু যা উনি রেখে গেছেন, যা যা অবদান উনি করে গেছেন আমাদের সবার জন্য, সেটা আমাদের কাছে বিশাল প্রাপ্তি৷ একজন ডেডিকেটেড, কমিটেড সৈনিককে আমি স্যালুট জানাচ্ছি, যিনি বহু কিছুই তৈরি করে গেছেন সকলের জন্য৷ ওনাকে প্রণাম এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি৷ আমরা সবসময় ওনাকে মনে রাখব৷ সবকিছুর মধ্যেই উনি আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন৷’
advertisement
আরও পড়ুন: দু কামরার ফ্ল্যাট, অ্যাম্বাসাডর আর ধুতি- পাঞ্জাবি৷ বুদ্ধদেব বরাবরই ব্যতিক্রমী
গত ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপর ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক রকমের সংক্রমণও ধরা পড়ে তাঁর। ফের আচমকা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন। গতকাল রক্তপরীক্ষাও করা হয়, রিপোর্টে সেরকরম কিছু পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্যাচুরেশন খুব দ্রুত কমে যাওয়ায় মীরাদেবী তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক সোমনাথ মাইতিকে জানান। অবশেষে আর শেষরক্ষা হল না, সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বুদ্ধবাবু৷