ইন্ডাস্ট্রির এই পাওয়ার কাপলকে ঘিরে প্রভূত বিতর্ক দানা বেঁধেছিল গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। কারণ দু'জনে আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দলে নাম লিখিয়েছিলেন। কৌশানী ঘাসফুলে এবং বনি গেরুয়া শিবিরে। সেই সময়ে কীভাবে নিজেদের মতাদর্শের ভিন্নতাকে দূরে রেখেছিলেন তাঁরা? ‘ডাল বাটি চুরমা’ ছবির প্রচারে নিউজ18 বাংলাকে বনি বলেন, ‘‘সেই সময়ে ওটা আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ছিল। আমি কখনও রং দিয়ে বিচার করি না। আমরা ঠিক করেছিলাম, কোনওভাবেই নিজেদের ভিন্ন মতকে আমাদের সম্পর্কে অন্তরায় হতে দেব না। বাইরে যা কথা হচ্ছে, হোক। কিন্তু ঘরের ভিতরে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হবে না। আমি আমার মাকেও সেটা বলে দিয়েছিলাম। আর তাই জন্যই বোধহয় আমাদের রাজনৈতিক চেতনা নিয়ে কোনওদিনও বিবাদ হয়নি আমাদের মধ্যে। যদিও পরে নিজেই বুঝেছি, ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করিনি। তাই পরে সরেও এসেছি। আমি কেবল অভিনয়, প্রযোজনার দিকে মন দিতে চাই। কৌশানী যেমন এখনও কাজ করে যাচ্ছে। সেটা ওর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’’
advertisement
বনির কথায় সায় দিয়ে কৌশানীর মস্করা, ‘‘আমি বনিকে ওভাবে কল্পনাও করতে পারি না। মানে বনি কিনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছে! সেই সময়ে যদি ওর আর আমার রাজনৈতিক মতাদর্শে মিল থাকত, আমি হয়তো ওকে ব্যবহারও করতাম একটু।’’ বলেই হেসে ওঠেন কৌশানী।
আরও পড়ুন: আমি রাজনৈতিক বিদ্বেষের শিকার হইনি ঠিকই, কিন্তু টালিগঞ্জে এই ঘটনা ঘটে: রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: বৌমাকে ভালবাসা, ভাইয়ের বিয়েতে আবেগপ্রবণ শ্রেয়া, সমুদ্রের ধারে 'টু স্টেট ওয়েডিং'!
তবে সঙ্গে সঙ্গে মস্করা সরিয়ে সিরিয়াস হয়ে বলেন, ‘‘আমি স্পেস দেওয়ায় বিশ্বাসী। দিনে ২৪ বার ফোন করে জানতে চাই না যে ঘুমিয়েছ, খেয়েছ, ইত্যাদি। দিনের শেষে একে অপরের সব খবরই জেনে নিই। কিন্তু তার জন্য সারাদিন ধরে একে অপরের স্পেসে ঢুকে পড়ি না আমরা। আর উল্টোদিকে আমি যখন রাজনীতিতে যোগ দিলাম, আমার মধ্যে এ নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, তা জানতামই না। কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পারি। দু’জনের মতাদর্শ তো আলাদা হতেই পারে। তাই জন্যই তো বিপরীত মেরু একে অপরকে আকর্ষণ করে। আর সেই সময়ে আমি নিজে খুব ঘেঁটে ছিলাম। প্রথম যখন বনি যোগ দেয় রাজনীতিতে, আমি জানতামই না। আমার কাছেও সারপ্রাইজ ছিল। ফোন অফ করে নিজের কাজেই মন দিয়েছিলাম।’’
কখনওই একে অপরের মতাদর্শের মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াননি বনি-কৌশানী। আর তাই হয়তো এই দু’টি মানুষ এখনও একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। মতাদর্শের পার্থক্যের জন্য বনি-কৌশানীর নাম আলাদা ভাবে উচ্চারিত হয়নি কোনও দিনও।