তবে কারও কারও মৃত্যুতে হয়তো এমন অদ্ভুত সমাপতনই লেখা থাকে ৷ সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে আগের মৃত্যুগুলির হয়তো কোনও সম্পর্ক নেই ৷ কোনও সংযোগ থাকলেও তা তদন্ত স্বাপেক্ষ ৷ এ বিষয়ে এখনও কোনও উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ তবে গত এক মাসের মধ্যেই সুশান্তের তিন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর আত্মহত্যা, শুধুই কী কাকতালীয়?
advertisement
সুশান্তের বন্ধু মনমীত গ্রেওয়াল, ১৫ মে আত্মহত্যা করেন, নিজের বাড়িতেই ৷ এরপর প্রেক্ষা মেহতাও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ২৬ মে, মধ্যপ্রদেশে ৷ সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ান ১৪ তলার উপর থেকে ঝাঁপ দেন সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক পাঁচ দিন আগে, ৯ জুন ৷ এরপর ১৪ জুন সকালে নিজেকে শেষ করে দেন সুশান্ত সিং রাজপুত ৷
যদিও যতদূর জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেরই আত্মহত্যার কারণ পৃথক ছিল ৷ মনমীত দীর্ঘদিন ধরে কাজ পাচ্ছিলেন না ৷ লকডাউন যেন তাঁর মনোবল একেবারে ভেঙে দেয় ৷ দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি ৷ এমনকি বাড়ি ভাড়া দেওয়ার টাকাও ছিল না তাঁর কাছে ৷
কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত ছিলেন টেলি অভিনেত্রী প্রেক্ষা মেহতাও ৷ একাকীত্বতা গ্রাস করেছিল তাঁকেও ৷
লকডাউনে কর্মক্ষেত্রে নানারকম সমস্যায় ভুগছিলেন দিশা ৷ যে কারণে অবসাদ গ্রাস করেছিল তাঁকেও ৷
অবসাদের শিকার হলেন সুশান্তও ৷ ১৪ জুন, নিজের বান্দ্রার ফ্ল্যাটের বেডরুমে গলায় দড়ি দেন অভিনেতা ৷ পরপর নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মৃত্যুই কি তাঁকে অন্য পৃথিবীর দিকে আরও কয়েকটা ধাপ এগিয়ে দিল? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে....