কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের? ১৪ জুনের পর এই একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে মরিয়া গোটা দেশ! গত ১৪ জুন দেহ উদ্ধারের পর মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্গেই সুশান্তের ময়নাতদন্ত হয়। ১৫ জুন কুপার হাসপাতালের ৫ চিকিৎসকের একটি টিম জানান, অ্যাসফ্যাক্সিয়া অর্থাৎ বেশিক্ষণ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। কিন্তু পুলিশের এহেন দাবি মেনে নেননি সুশান্তের পরিবার, অনুরাগীরা। বারবার সামনে এসেছে একাধিক অসঙ্গতি। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে! অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের চৌহদ্দি পেরিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই! কিন্তু ৩ মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট উপসংহারে আসতে পারেনি সিবিআই! তাই ন্যায়বিচারের দাবিতে অবশেষে গান্ধীজির 'সত্যগ্রহ'র পথ অবলম্বন করলেন সুশান্তের বন্ধুরা! শুরু হল তাঁদের অনশন কর্মসূচি। আগামী ৩দিন ধরে চলবে এই অনশন।
advertisement
অনশনে শুরু করেন সুশান্তের বন্ধু, পেশায় কোরিওগ্রাফার গণেশ হিবরকর এবং অভিনেতার এক সময়ের সহকারি অঙ্কিত আচার্য। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন অগুন্তি সুশান্ত অনুরাগী। হাতে প্ল্যাকার্ড, গলায় চিৎকার, ' সামনে আসুক সত্য! সুশান্তের খুনিদের ফাঁসি দেওয়া হোক!' সুশান্তের বন্ধু ও অনুরাগীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রয়াত অভিনেতা সুবিচার পাবেন না, ততক্ষণ এই মুভমেন্ট বন্ধ হবে না! প্রসঙ্গত, দিল্লির আগে মুম্বইতেও এই অনশন চালানো হয়।
অন্যদিকে, সূত্রের খবর, সুশান্ত মামলায় প্রয়াত অভিনেতার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি ও রাঁধুনী নীরজকে রাজসাক্ষী করতে পারে CBI, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁদের স্টেটমেন্ট ফাইল করা হবে। সূত্রের খবর, সুশান্ত মালায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ।