বৃহস্পতিবার সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলায় প্রথমবার বিবৃতি দিল CBI। স্টেটমেন্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, কিছু সংবাদমাধ্যম CBI-এর বয়ান হিসাবে লাগাতার ভুল তথ্য প্রকাশ করছিল। CBI এদিন স্পষ্ট করে দেয়, এখনও পর্যন্ত CBI-এর তরফে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও তথ্যই শেয়ার করা হয়নি।
CBI-এর তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, সুশান্ত মামলায় CBI নির্দিষ্ট সিস্টেম ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে। CBI তদন্ত সম্পর্কে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে কিছু খবর প্রকাশিত হয়, যা সম্পূর্ণ অনুমানের ভিত্তিতে তৈরি, একেবারেই তথ্যভিত্তিক নয়। তদন্ত চলাকালীন CBI কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনতে পারে না। সিবিআই- এর কোনও আধিকারিকও কোনও সংবাদমাধ্যমে কোনও তথ্য শেয়ার করেনি। মিডিয়ার কাছে তাদের অনুরোধ, CBI- নাম করে কোনও খবর প্রকাশ করার আগে সিবিআই মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে নেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, ১ সেপ্টেম্বর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, সিবিআই-এর ৩ জন অফিসার, যাঁরা এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন, স্বাধীনভাবে সেই সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত খুনের কোনও ইঙ্গিত পায়নি সিবিআই। তবে তদন্ত এখনও চলছে! যদি সুশান্ত আত্মহত্যা করে থাকেন, তবে কেউ বা কারা কি তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে? এই মুহূর্তে সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
এহেন খবর প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়! তারপরই নড়েচড়ে বসে সিবিআই কর্তৃপক্ষ। এই মামলায় CBI-এর তরফে জারি হওয়া প্রথম বিবৃতিতে সংস্থার তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, এইসমস্ত খবর ভুয়ো। সিবিআই-এর কোনও আধিকারিক এখনও পর্যন্ত কোনও সংবাদমাধ্যমকে কোনও সাক্ষাৎকার দেয়নি।
সুশান্ত মৃত্যু মামলায় সিবিআই-এর পাশাপাশি তদন্ত করছে ইডি ও এনসিবি! শুক্রবার ২ ঘন্টা তল্লাশি চালানোর পর এনসিবি-র অফিসাররা আটক করেন সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। শুক্রবার সকালে স্যামুয়েলের বাড়িতে হানা দেয় এনসিবির দল। মাদক চক্রে নাম উঠে এসেছে তার। শৌভিক চক্রবর্তীর হাত ধরেই মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়, এমনটাই সূত্রের খবর। অন্যদিকে রিয়া ও শৌভিক চক্রবর্তীর বাড়িতেও রেড চালাচ্ছে এনসিবি। কে পি মালহোত্রার নেতৃত্বে চলছে এই তল্লাশি।
সুশান্ত মৃত্যুর তদন্তে নেমে মাদক যোগ পাওয়ার পরই তদন্তে যুক্ত হয় এনসিবি৷ রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছে তারা৷ ইতিমধ্যে রিয়ার ভাই শৌভিকের পরিচিত কয়েকজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সুশান্ত মৃত্যু মামলার তদন্তে নামার পর গত কয়েকদিনে যে কয়েকজন মাদক কারবারীকে এনসিবি গ্রেফতার করেছে, তাদের জেরা করে রিয়ার ভাই শৌভিকের নাম উঠে এসেছে৷ সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত কিছু পাওয়া যায় কিনা, সেই লক্ষ্যেই এ দিন অভিযান চালানো হয় বলে খবর৷