TRENDING:

‘বলিউড ঘরানা’র জন্মদাত্রী ছিলেন তিনিই, শেষ বয়সে জীবন কাটাতে হল নাচের স্কুল চালিয়ে!

Last Updated:

একসময়ে বলিউডে একটি প্রচলন ছিল। কোরিওগ্রাফারদের বলা হত মাস্টারজি। টিনসেল টাউনের তিনি শেষ মাস্টারজি ছিলেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ARUNIMA DEY
advertisement

#মুম্বই: বলিউডে যেন চলছে মৃত্যু মিছিল। সুশান্তের চলে যাওয়ার ব্যথা শিথিল হওয়ার আগেই চলে গেলেন আরও একজন। প্রয়াত সরোজ খান। ৭১ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তিনি। রেখে গেলেন তাঁর অমর সব সৃষ্টি।

একসময়ে বলিউডে একটি প্রচলন ছিল। কোরিওগ্রাফারদের বলা হত মাস্টারজি। টিনসেল টাউনের তিনি শেষ মাস্টারজি ছিলেন। বলিউডি নাচের স্বতন্ত্র্য ঘরানা তৈরি করেন তিনি। তিনি সরোজ খান। ঘুঙরুর শব্দই যেন তাঁর প্রাণভোমরা, সেই তিনিই চলে গেলেন নিঃশব্দে। ৩ জুলাই ভোর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন সরোজ। ফিরে দেখা যাক, তাঁর সিনে সফর।

advertisement

সরোজ খানের আসল নাম নির্মলা। ৩ বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তবে মন টানতো নাচ। তাই ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন। বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার সোহনলালের সহকারী হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন সরোজ, সঙ্গে নিজেও নিতে থাকেন নাচের তালিম। কোরিওগ্রাফার হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি 'গীতা মেরা নাম'।  এরপর কাজ মিললেও খ্যাতি মেলে না। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন সরোজ। মিস্টার ইন্ডিয়া-এ শ্রীদেবীর সঙ্গে কাজ করার পর, তিনি হয়ে ওঠেন ‘টক অফ দ্য টাউন’।

advertisement

এই প্রসঙ্গে একটি দারুণ ঘটনাও রয়েছে। সরোজ তখন নতুন। 'মিস্টার ইন্ডিয়া'-র পরিচালক শেখর কাপুর তাঁকে দেখে বলেন যে, ছবির নায়িকা দারুণ নাচেন, রিহার্সাল করার প্রয়োজন নেই। প্রথম গানের, প্রথম স্টেপ করতে গিয়ে ১৩ বার ভুল করেন শ্রীদেবী। তিনি সরোজ খানকে ডেকে বলেন যে, তিনি দারুণ ডান্সার নন। রিহার্সাল না করিয়ে তাঁকে যেন কঠিন স্টেপ না দেওয়া হয়। সেই থেকে শুরু হয়, শ্রীদেবী-সরোজ ম্যাজিক। ‘নাগিন’, ‘চাঁদনি’, একের পর এক ছবির গানে সরোজ খানের স্টেপে পা মিলিয়েছেন নায়িকা।

advertisement

আবার জুটি বাঁধলেন সরোজ। মাধুরীর সঙ্গে শুরু হল এক নতুন অধ্যায়। ‘এক দো তিন’, ‘তাম্মা-তাম্মা’, ‘ধক ধক করনে লাগা’, এই জুটি পর্দায় ইতিহাস সৃষ্টি করে। শ্রীদেবী ও মাধুরীকে dancing icon বানানোর পিছনে সরোজ খানের অবদান কিছু কম নয়। কাজল, রবিনা, রানি, করিনা, প্রীতি, ক্যাটরিনা, দীপিকা, সোনম, বলি কন্যারা প্রায় সকলেই তাঁর তালে পা মিলিয়েছেন। যাঁরা পারেননি তাঁদের আফশোসের শেষ নেই।

advertisement

তিন বার জাতীয় পুরস্কার ও আট বার ফিল্মফেয়ার সম্মানে সম্মানিত সরোজ। পুরুষ তান্ত্রিক বলিউডে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতির প্রশংসা করতেই হয়। ‘পরদেশ’, ‘তাল’, ‘দেবদাস’, ‘হম দিল যে চুকে সনম’, ‘লভ আজকাল’, ‘মানিকার্নিকা’-য় সরোজ ফেলেছেন তাঁর নিজস্ব ছাপ। তাঁর শেষ ছবি ‘কলঙ্ক’-এও কাজ করেছেন প্রিয় ছাত্রী মাধুরীর সঙ্গে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

বেশ কয়েকটি ডান্স রিয়ালিটি শো-এর বিচারক ছিলেন সরোজ। কয়েকটি ছবির চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। তবে শেষের দিকে জীবন চালাতে হয়েছে নাচের স্কুল চালিয়েই। জ্যাজ, কনটেম্পোরারি, হিপহপ-এর ভিড়ে খানিক ম্লান হয়ে এসেছিলেন তিনি। তবে দর্শক তাঁকে মনে রাখবেন বলিউড ঘরানার জননী হিসেবে।

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
‘বলিউড ঘরানা’র জন্মদাত্রী ছিলেন তিনিই, শেষ বয়সে জীবন কাটাতে হল নাচের স্কুল চালিয়ে!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল