গত এপ্রিল মাসেও জোরকদমে চলছিল এই ছবির শ্যুটিং। কিন্তু করোনার জেরে তাতে ভাটা পড়ে। তাই ‘টাইগার’ ফ্র্যাঞ্চাইজিটির নির্মাতারা এখন এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ছবির শ্যুটিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু শুটিং আবার শুরু করার বিষয়ে কোনও স্পষ্টতা পাওয়ার আগেই ঘূর্ণিঝড় তাউকতাইয়ের (Cyclone Tauktae)-র ধ্বংসলীলা দেখে ‘টাইগার ৩’ ছবির সেট। এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের জেরে মুম্বইয়ে ভেঙে পড়ে ছবিটির সেট।
advertisement
ছবিটির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে, ছবির পরবর্তী শ্যুটিং কবে শুরু হবে সে বিষয়ে এখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। এমনকি জুনের মাঝামাঝি নাগাদ সরকার যদি শ্যুটিং শুরু করার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেয়, তবুও স্টুডিওতে কাজ শুরু করার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। তিনি আরও যোগ করেন, সব মিলিয়ে ‘টাইগার ৩’-এ প্রায় ৩০০ জনের টিম রয়েছে। নির্মাতারা চান যে, দলটি কাজে যোগ দেওয়ার পূর্বে তাদের করোনা সংক্রমণ রুখতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। তাঁর মতে, বাইরের কাঠামোটি ঠিক রাখা বেশ ব্যয়বহুল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই সেটি আপাতত তুলে নেওয়া হয়েছে।
ওই সুত্র আরও জানিয়েছে যে, পুরোপুরি ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের জন্য ফের সীমান্ত খুলে দিয়েছে ইউরোপ। সুতরাং যদি ‘টাইগার ৩’ টিমের সকলের টিকাকরণ হয়ে যায় তবে তবে তারা সহজেই সেখানে শ্যুটিংয়ের জন্য উড়ে যেতে পারবে।
চলতি বছর মার্চ মাসে মুম্বইয়ের একটি স্টুডিওতে সিনেমার শুটিং শুরু করেন সলমান এবং ক্যাটরিনা। তবে অভিনেত্রী ক্যাটরিনার করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসায় বন্ধ হয়ে যায় শ্যুটিংয়ের কাজ। এই ঘটনার পরে ফের করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার ক্রমবর্ধিত হওয়ায় মহারাষ্ট্র সরকার লকডাউন সহ একাধিক বিধি-নিষেধ জারি করে। যার ফলে ফের বিলম্ব হয় শ্যুটিংয়ে।
সাইক্লোন তাউকতাইয়ের জেরে মুম্বইয়ে ‘টাইগার ৩’-এর সেটটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এছাড়া জনতা কারফিউ ১৫ জুন অবধি বাড়ানোর ফলে নির্মাতারা কবে থেকে ছবির শ্যুটিং শুরু করতে পারবেন তা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছেন।