গ্রেফতার হওয়ার পর করণ অভিযোগ করেন, "তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরেই মনোমালিন্য চলছে। কিন্তু আমার ছেলের মুখ চেয়ে আমি সব মিটিয়ে নিয়েছি। কিন্তু এই অশান্তি এতটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যায়, যে আমাকে ডিভোর্স চাইতে হয়। আর সেই জন্য আমি নিশার ভাইকে বলি একটা মধ্যস্থতা করার জন্য। আমার কাছে ডিভোর্সের জন্য যে টাকা যাওয়া হয়, তা আমি জীবনে রোজগারই করিনি। দিতে পারি না। ফলে ডিভোর্স আটকে যায়। এদিকে আমাকে মারা পর্যন্ত হয়। নিশার ভাই আমার গায়ে হাত তোলে। নিশাও আমাকে মারে। এবার নিশা জঘন্য খেলা শুরু করেছে। আমি ওকে ছাড়বো না।" এখানেই শেষ নয়, করণ অভিযোগ করেন, নিশার বাইপোলার ডিসঅর্ডার রয়েছে । যে কারণে তিনি মাঝেমধ্যেই মারাত্মক মারমুখী হয়ে ওঠেন ।
advertisement
এ বার সাংবাদিকদের সামনে এসে করণের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন নিশা । মঙ্গলবার সন্ধেয় মাথায় ব্যান্ডেজ করে, ওড়নায় আপাদমস্তক মুড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসতে দেখা যায় নিশাকে । ক্যামেরার সামনে একাধিকবার কেঁদে ফেলেন তিনি । নিশা এ দিন বলেন, ‘‘হ্যাঁ আমি বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত । কিন্তু তার মানে আমি পাগল নই । এটা একটা মুড ডিসঅর্ডার । যা মারাত্মক ট্রমা থেকে হয় । অনেক সময় এটা জেনেটিক । আমি এর জন্য লজ্জিত বা ভীত কোনওটাই নই । আপনারা জানেন আমি কী কাটিয়ে এসেছি জীবনে । সম্প্রতি একটা ডিজিটাল কনটেন্টে আমি ভিডিও বানিয়েছিলাম । সেখানে সবটাই আমি বলেছি ।’’
শুধু তাই নয়, নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কার কথাও শেয়ার করেন নিশা । সম্প্রতি তিনি অনলাইনে মায়েদের একটি গ্রুপ বানিয়েছেন । নিশা বলেন, ‘‘সেখানে আমি নিজের সন্তানকে হারানোর কথা শেয়ার করেছিলাম । ওই গ্রুপে এমন সব মায়েরা আছেন যাঁরা সন্তানকে হারিয়েছেন । তাঁরা নিজেদের কথা শেয়ার করেন । ২০১৪ সালে ৫ মাসের প্রেগন্যান্ট থাকা অবস্থায় আমার মিসক্যারেজ হয়ে যায় । সেই কষ্টের কথা আমি কাউকে বলতে পারিনি । শুধু বাবা-মায়ের কাছে মন খুলে কথা বলতে পারতাম । সে সময়ও করণ আমাকে মারধর করত, কোনও সাপোর্ট করত না । কোনওদিন ওকে পাশে পাইনি । আমার থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিল । এটা আমার জীবনের বড় ট্রমা । তখন আমি থেরাপিস্টের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই । এমনকি এতেও আপত্তি ছিল করণের । ও আমাকে জিমেও যেতে দিত না । সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাইত ।’’
পাশাপাশি করণের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন নিশা । করণ-নিশার এই দাম্পত্য কলহ সামনে আসতেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন একাধিক তারকা । ‘শাদি মুবারক হো’ অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু রোহিত কে বর্মা, মুনিশা খাটওয়ানি । ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত রক্তাক্ত নিশার একটি ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় । লেখেন, ‘‘বহু বছর ধরে চুপচাপ আমার বান্ধবীকে সহ্য করতে দেখেছি আমি । অবশেষে সে নিজের এবং তাঁর সন্তানের জন্য কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে । সমস্ত শক্তি দিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে রয়েছি ।’’