নেহার এই সহমর্মিতাবোধ প্রশংসা করার মতোই, তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে তিনি কেন এই পদক্ষেপ করতে গেলেন! সেই উত্তরও নেহা দিয়েছেন ছবির সঙ্গের এক মোটামুটি দীর্ঘ লেখায়। সেই লেখার প্রথমে সদ্য মা হওয়া একজন মহিলা কী রকম মানসিকতার মধ্যে দিয়ে যান, সেই বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন নায়িকা। তিনি লিখেছেন যে মা হওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের ব্যাপার, কিন্তু বাইরে থেকে লোকে শুধু এই আনন্দটুকুই দেখতে পায়। মা হওয়ার সময় এবং মা হওয়ার পরে মহিলাদের জগতে এক বিরাট পরিবর্তন ঘটে যায়, যার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কাজটা মোটেও সহজ নয়। আর যখন তাঁরা সেই সবের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন, বদলে কী পান? নেহা তীব্র কটাক্ষের সঙ্গে জানিয়েছেন যে উপহাস ছাড়া আর কিছুই কপালে জোটে না, ঠিক যেমনটা এই ট্রোলড হওয়া মহিলার সঙ্গে হয়েছে!
নায়িকার দাবি- সেই জায়গা থেকেই তিনি নিজের সন্তানকে স্তন্যদানের ছবি পোস্ট করেছেন। নেহার মতে এটা সম্পূর্ণ ভাবেই একজন মায়ের স্বাধীনতা যে তিনি কখন এবং কোন জায়গায়, লোকসমক্ষে না নিভৃতে তাঁর সন্তানকে স্তন্যদান করবেন! এই জায়গায় এসে নেহা জানিয়েছেন যে লোকসমক্ষে স্তন্যদানের মধ্যে অশালীন কিছু নেই, বরং যাঁরা এর মধ্যেও যৌনতা খোঁজার চেষ্টা করেন, তাঁদের মানসিকতাই আদতে নিকৃষ্ট! সব মায়েদের অনুরোধ জানিয়েছেন নেহা- তাঁরা যেন এই বিষয়ে নিজেদের দ্বিধা ঝেড়ে ফেলেন, তাহলেই সমাজ প্রগতিশীল হওয়ার একটা সুযোগ পাবে!