ট্যুইট করে স্বরা লেখেন, ‘‘দিল্লিতে কী চলছেটা কী?? লজ্জা'। অন্যদিকে হুমার ট্যুইট, 'গণশ্লীলতাহানি। কী হচ্ছেটা কী? আমরা কেন মেয়েদের সুরক্ষা দিতে অপারগ? দেশের পড়ুয়ারা সুরক্ষিত নয় কেন?’’
হুমা লেখেন, ‘‘গার্গী কলেজে গণশ্লীলতাহানি ৷ এটা কী হচ্ছে? এটাই সেই কলেজ, যেখানে আমি পড়েছি? আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি, রাগ হচ্ছে ৷ কেন আমরা আমাদের মেয়েদের সুরক্ষা দিতে পারছি না? কেন এই দেশে আমাদের পড়ুয়াদের সুরক্ষিত রাখতে পারছি না?’’
advertisement
৪ দিন পর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুলকালাম শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। চাপের মুখে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। দিল্লির অভিজাত কলেজে ঢুকে বহিরাগতদের তাণ্ডব ও ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠছে। এমনকি অনেকজন ছাত্রীকে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। বাথরুমে আটকে রেখে দুষ্কৃতিরা ছাত্রীদের দেখিয়ে হস্তমৈথুন করে বলে জানিয়েছেন ছাত্রীরা ৷
৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির গার্গী কলেজে এই ঘটনা ঘটে। ফেস্টের সময় ঢিলেঢালা নিরাপত্তার ফাঁক গলেই বহিরাগতরা ঢুকে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয়, ৬ তারিখ এই ঘটনা ঘটলেও তা প্রকাশ্যে আসেনি। সোমবার সকাল থেকে কলেজের ভিতরে বিক্ষোভে শামিল হন পড়ুয়ারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রীদের বিভিন্ন পোষ্ট দেখে ঘটনা নজরে আসে মহিলা কমিশনের। কলেজ কর্তৃপক্ষের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে মহিলা কমিশন। কমিশনের সদস্যরাও কলেজে গিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।