আয় এবং সম্পত্তির হিসেবে রয়েছে বিস্তর গরমিল। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার ৮ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদে রিয়া, তাঁর সম্পতির হিসেব নিয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। কোথা থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে বিপুল অঙ্কের টাকা এল? সে টাকার উৎস কী? কী ভাবে সেই টাকা রোজগার করলেন তিনি? ইডির বহু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি। ফলে আবারও বিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জানা গিয়েছে, রিয়াকে লিখিত আকারে আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে বলা হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিয়ার দাবি করেন, 'ছিছোড়ে' সিনেমার স্টিকার লাগানো একটি জলের বোতল ছাড়া সুশান্তের আর কোনও সম্পত্তি তাঁর কাছে নেই। তিনি একেবারে নির্দোষ।
advertisement
সুশান্তের বাবা যে ১৬ দফা অভিযোগ এনেছিলেন রিয়ার বিরুদ্ধে তার মধ্যে সুশান্তের টাকা আত্মস্যাৎ করার অভিযোগও ছিল। শুক্রবার সাড়ে আট ঘণ্টার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ চলে। ডেকে পাঠানো হয়েছিল রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে এবং বাবা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তীকে। এছাড়া তলব করা হয়েছিল সুশান্তের প্রাক্তন বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদি ও রিয়ার সিএ রিতেশ শাহকে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির সদর দফতরে হাজিরার জন্য তলব করা হয়। সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। রিয়ার গত এক বছরের কল রেকর্ড থেকে দেখা গিয়েছে গোটা বছরে ১০০ বার রিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে সিদ্ধার্থের। কিন্তু কেন? এতবার কেন তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে রিয়ার? ফলে রিয়ার সঙ্গে তাঁর ঘন ঘন ফোনে কথা, ভাবাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর কর্তাদের। সে কারণেই এ বার ডেকে পাঠানো হয়েছে সিদ্ধার্থকে। যদিও সিবিআই-এর দায়ের করা মামলায় ছ’জনের মধ্যে নাম নেই সিদ্ধার্থের ।