সম্প্রতি একটি সুগন্ধী সংস্থা দু'টি বিজ্ঞাপন বের করেছে। অভিযোগ উঠেছে, যেখানে স্পষ্ট ভাবে ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের সংস্কৃতিকে প্রচার করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন দু'টিতে দেখা গিয়েছে, চার জন যুবক মিলে এক জন মহিলার উপর চড়াও হওয়ার কথা আলোচনা করছে এবং সুগন্ধীর প্রলোভনে মহিলা কাছে আসছে।
আরও পড়ুন: ফের আতঙ্ক বলিউডে? কার্তিকের পরেই এবার করোনা আক্রান্ত আদিত্য রায় কাপুর
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়া এবং টেলিভিশনের পর্দা থেকে সেই বিজ্ঞাপনকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সেই সুগন্ধীর সংস্থা এবং বিজ্ঞাপন সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে। অংশ নিলেন পরিচালক ফারহান আখতার, অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, রিচা চড্ডা, স্বরা ভাস্কর, গায়িকা সোনা মহাপাত্র প্রমুখ।
টুইটারে ফারহান লিখলেন, 'কতটা বিকৃত মানসিকতা হলে এমন একটি দুর্গন্ধযুক্ত সুগন্ধীর বিজ্ঞাপনের কথা চিন্তা করা যায়, রাজি হওয়া যায় এবং বানানো যায়! যেখানে গণধর্ষণকে স্বাভাবিক ভাবে দেখানো হচ্ছে!'
রিচা লিখেছেন, 'এই বিজ্ঞাপন কোনও দুর্ঘটনা নয়। একটি বিজ্ঞাপন বানাতে গেলে অনেক স্তরের অনুমোদন প্রয়োজন। অনেক ভাবনা চিন্তা করেই এই কাজটি করা হয়েছে। ধর্ষণকে মজাদার মনে হয় সকলের? যে সংস্থা এই বিজ্ঞাপন বানিয়েছে এবং যে সংস্থার প্রসাধনী, সেই দু'টির বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা উচিত এই দুর্গন্ধ ছড়ানোর জন্য।'
রিচার টুইটের উত্তরে প্রিয়ঙ্কা টুইট করেছেন, 'জঘন্য এবং লজ্জাজনক! বিজ্ঞাপনটি বানানোর সময়ে সবুজ সংকেত পাওয়ার জিন্য কতগুলি স্তর পেরিয়ে আসতে হয়েছে জানতে চাই। আর কারা মনে করেছেন যে এই বিজ্ঞাপনটি সুস্থ মানসিকতার? তবে আমি খুশি হয়েছি মানুষ এই বিজ্ঞাপনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে। সাধুবাদ দিই।'
সম্প্রতি হায়দরাবাদে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের কথা উল্লেখ করে স্বরা লিখেছেন, 'হায়দরাবাদে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এমন ঘটনা রোজ আমাদের দেশে ঘটছে। সেই সময়ে এই দু'টি সংস্থা নিজেদের বিজ্ঞাপনের জন্য গণধর্ষণকে বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছে। এবং সেটিকে মজার ছলে দেখানো হচ্ছে। জঘন্য বললেও কম বলা হবে। এরা অপরাধী! কুৎসিত! কোন সংস্থার বানানো এটি?'
দিল্লি কমিশন ফর উওমেন-এর চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল বিবৃতি দিয়েছেন, 'এই দেশের ধর্ষকাম মানসিকতাকে প্রচার করেছে এই বিজ্ঞাপন। এই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এই ধরনের বিজ্ঞাপনকে এখনই সব জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।'
আরও পড়ুন: শত্রুঘ্ন সিনহার পরিবারে আজ খুশির আমেজ! আনন্দে মাতল গোটা পরিবার
ইতিমধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে সেই সংস্থার কাছে এই বিজ্ঞাপন তুলে নেওয়ার নির্দেশ গিয়েছে।