যদিও এখনও পর্যন্ত বিগ বস বিজয়ীর খেতাব জিতেছেন যাঁরা, সেই সব প্রাক্তন প্রতিযোগীরা বলছেন অন্য কথা। স্পষ্ট ভাবেই জানাচ্ছেন কতটা কঠিন লড়াই করতে হয়েছে তাঁদের! পাশাপাশি এটাও জানাতে ভোলেননি, এই লড়াইয়েরও নিজস্ব এক সমীকরণ রয়েছে। সেটা মেনে চলতে পারলেই অন্যদের খুব সহজে হারিয়ে দেওয়া যায়।
গওহর খান, যিনি বিগ বস-এর সপ্তম পর্বে জয়ী হয়েছিলেন, তিনি এই সমীকরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার কথা। তাঁর কথায়, প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব ব্যক্তিত্ব থাকে, সেটা ভুলে গেলে চলবে না। পাশাপাশি যদি সকলের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখা যায়, তা হলেই দর্শকের ভালোবাসা আর ভোট জিতে নেওয়ার কাজটা সহজ হয়ে যায়।
advertisement
আবার কাম্যা পঞ্জাবি, যিনি ওই সপ্তম পর্বেই জোর টক্কর দিয়েছিলেন গওহরকে, উল্লেখ করছেন জেদের কথা। তাঁর মতে, টিঁকে থাকার লড়াইটাই আসল। তিনি নেমে এসেছেন স্বীকারোক্তির পর্যায়ে। জানিয়েছেন, প্রায় রোজই তাঁর মনে হত শো ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে আসার কথা! সেটা করেননি বলেই শেষ পর্যন্ত দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন।
পরশ ছাবরাও গওহরের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন। তাঁরও ওই এক মত- যদি স্বকীয়তা বজায় রাখা যায়, জয় আসবেই! অন্য দিকে মাহিরা শর্মা, যিনি ওই শোয়ে পরশের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন, বলছেন সততার বিকল্প হয় না। সততার সঙ্গে নিজের সবটা দিয়ে লড়াই করতে পারলেই মুশকিল আসান হয়ে যায়।
এই সব কিছুর সঙ্গে সিজন ১৩-র প্রতিযোগী দেবলীনা ভট্টাচার্য যোগ করতে ভোলেননি এক মোক্ষম সত্য। তিনি বলছেন, এই শোয়ের বাইরেও তো জীবনের লড়াই করতে হয়, তাই সেখানেও অন্যের কাছ থেকে সম্মান পাওয়াটা জরুরি। এ ক্ষেত্রে আর যাই হোক না কেন, প্রতিযোগীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে চলবে না!