২০০৯ সালে ‘লন্ডন ড্রিমস’ ছবির হাত ধরে নিজের কেরিয়ার গড়তে শুরু করেন। যদিও এই ছবিটিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেননি তিনি। বরং মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অজয় দেবগন এবং সলমন খান। তা সত্ত্বেও বক্স অফিসে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ে ‘লন্ডন ড্রিমস’। এর পরে বেশ কিছু ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে দেখা যায় আদিত্যকে। কিন্তু প্রতিটি ছবিই ফ্লপ হয়।
advertisement
যেমন – ২০১০ সালে ‘অ্যাকশন রিপ্লে’ নামে একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। অক্ষয় কুমার এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন অভিনীত এই ছবিতে নজর কেড়েছিলেন আদিত্য রায় কাপুরও। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, এই ছবিটিও বক্স অফিসে কামাল করতে পারেন। একই ঘটনা ঘটেছিল ‘গুজারিশ’ ছবিটির ক্ষেত্রেও। হৃতিক রোশন অভিনীত এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন আদিত্য। তবে এটিও বক্স অফিসে ফ্লপ বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
এর পরে আদিত্য রায় কাপুরের হাতে আসে এমন একটা ছবি, যা রাতারাতি তাঁর ভাগ্য বদলে দেয়। অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে সুপারস্টার হয়ে ওঠেন তিনি। ছবিটির নাম ‘আশিকি ২’। এখানে আদিত্যর বিপরীতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরকে। বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য আসে। এমনকী ছবির গানগুলিও সুপারহিট হয়। এই ছবির বাজেট ছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকা এবং এর বক্স অফিস সংগ্রহ ছিল ১০৯ কোটি টাকা। মোহিত সুরি পরিচালিত এই ছবিতে উঠে এসেছিল প্রেমের কাহিনী। আদিত্য রায় কাপুর এবং শ্রদ্ধা কাপুরের রসায়ন খুবই পছন্দ করেছিলেন ভক্তরা। ওই একই বছরে আদিত্য রায় কাপুরকে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতেও দেখা গিয়েছিল, যা বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
এই দু’টি ছবিতে ব্যাপক সাফল্যের পরেই যেন অভিনেতার ভাগ্য বিরূপ হয়! হাতের বাইরে চলে যায় কেরিয়ার। একের পর এক ছবিতে নায়ক হিসেবে কাজ করলেও সবগুলোই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এর মধ্যে অন্যতম হল ‘দাওয়াত-এ-ইশক’, ‘ওকে জানু’, ‘কলঙ্ক’। এর পাশাপাশি আদিত্য রায় কাপুর অভিনীত ‘ফিতুর’ এবং রাষ্ট্র কবচ ওম’ ছবিও ভাল ব্যবসা করতে পারেনি। এছাড়া আদিত্য অভিনীত ‘মালং’ ছবির আয় ছিল গড়েরও নিচে। আদিত্য রায় কাপুরকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল ‘রাষ্ট্র কবচ ওম’ ছবিতে। যা তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে প্রমাণিত হয়েছিল।