বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছিল আমিশা প্যাটেলকে। সেই সময় তাঁকে ছেঁকে ধরেছিলেন পাপারাৎজিরা। সম্ভাব্য সিক্যুয়েলের বিষয়েই তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, “রাকেশ আঙ্কলের কাছে এই প্রশ্নটা করুন। হৃতিকের কাছে জানতে চান। সম্ভাব্য সিক্যুয়েল তো হওয়াই উচিত। আসলে দর্শকরাও সেটাই চাইছেন।”
আরও পড়ুন- বিয়ের মন্ডপেই শুরু! বরকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারল না কনে! প্রকাশ্যেই যা করল… লজ্জায় লাল হবু
advertisement
প্রায় ২৫ বছর আগে প্রথম বারের জন্য মুক্তি পেয়েছিল ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’। মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, ছবিটি সুপারহিট বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই ছবির হাত ধরে রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন হৃতিক-আমিশা। এই ছবিটি তাঁর জীবন কীভাবে বদলে দিয়েছিল, সেটা News18 Showsha-র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছিলেন আমিশা। অভিনেত্রী কথায়, “সাধারণ ছেলে-মেয়ে থেকে আমরা রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছিলাম। রোহিত আর সোনিয়াও যেন জাতীয় ক্রাশ হয়ে গিয়েছিল। এটা একটা সাধারণ ছবি ছিল না। মানুষ এই চরিত্র দুটিকে গ্রহণ করেছিলেন। আমি তো বহু দিন ধরে এর মধ্যেই ডুবে ছিলাম। আমি জানি না, কীভাবে এটা হল। বিষয়টা বেশ অলৌকিক ছিল।”
আরও পড়ুন-‘কন্ডোম’ ছাড়া একমুহূর্ত চলে না…! রণবীরের ‘বেডরুম সিক্রেট’ ফাঁস দীপিকার, রেগে আগুন ঋষি যা বললেন…
আমিশার বক্তব্য, “গোটা বিশ্বই যেন আপনাকে পূজা করতে শুরু করবেন। সকলেই আপনাকে চিনতে পারবেন। একটাই প্রধান পরিবর্তন এসেছে। আর সেটা হল, একটা সাধারণ ঘরের মেয়ে থেকে রীতিমতো সকলের হার্টথ্রব হয়ে ওঠা। আর কহো না প্যায়ার হ্যায় ছবির হাত ধরে দর্শকদের মনেই জায়গা করে নিতে পারবেন আপনি।”
সব শেষে অভিনেত্রী বলেন যে, “দর্শকরা চরিত্রগুলিকে নিজেদের সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন। এটা শুধু একটা সাধারণ ছবিই নয়। রোহিত আর সোনিয়া দেশের সকলের ক্রাশ হয়ে উঠেছিল। বিমানবন্দর, রেস্তোরাঁ, জিম আপনি যেখানেই পা রাখুন না কেন, সেখানেই সকলে আপনাকে চিনে ফেলবেন। মানুষ আপনার অটোগ্রাফ চাইছেন। তাঁরা আপনার ছবি তুলতে চাইছেন। তাই এটাই হল আপনার স্টারডমের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। আর সেটা মনে উচ্ছ্বাস তো আনবেই।”