তবে সম্প্রতি নিজের ভক্তদের চমকে দিয়েছেন তিনি। আসলে মাত্র এক মাসের মধ্যেই ১২ কিলো ওজন কমিয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে এর জন্য কোনও খামখেয়ালি রুটিন অথবা সংক্ষিপ্ত পথ অবলম্বন করেননি করণ। বরং প্রাচীন ভারতের জ্ঞান এবং সচেতন জীবনযাপনের পথই অবলম্বন করেছেন তিনি।
advertisement
দেশের সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করণ কুন্দ্রা জানিয়েছেন যে, “আমাদের পূর্বপুরুষদের বিশ্বাস করা পথ অবলম্বন করেই অতিরিক্ত ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছি আমি। এর জন্য অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া এড়িয়ে চলা, সচেতন ভাবে খাওয়াদাওয়া করা, কখনও কখনও উপবাস করা এবং স্থির থাকা – এই নীতিগুলির কথা শুনেই আমরা বড় হয়েছি। অথচ ধারাবাহিক ভাবে তা মেনে চলিনি।” জোর দিয়ে তিনি আরও জানান যে, “পশ্চিমী অথবা ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট প্যাটার্ন চোখ বুজে অনুসরণ করলে হয় না। কারণ তা ভারতীয় জিনের জন্য কাজ না-ও করতে পারে।” পরিবর্তে তিনি উপবাস এবং ভারসাম্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মেনে চলেছেন। এর ফলে শুধু তাঁর দেহেই পরিবর্তন আসেনি, সেই সঙ্গে তাঁর এনার্জি এবং মননেও পরিবর্তন এসেছে। অভিনেতা আরও জানান যে, নিজের ডায়েটে তিনি ঘি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
উপবাস এবং সচেতন ভাবে খাওয়াদাওয়া:
নিজের এই ট্রান্সফরমেশনটিকে সরল-সাধারণ এবং ছিমছাম বলে দাবি করেছেন করণ। তিনি এ-ও তুলে ধরেন যে, সচেতন ভাবে খাওয়াদাওয়া এবং কখনও-সখনও উপবাস করার মতো ভারতীয় অভ্যাস সেই প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। তবে দ্রুত গতির জীবনের কারণে এই অভ্যাসগুলি অবহেলা করা হয়। তবে এই অভ্যাসগুলিই ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে। করণ স্পষ্ট ভাবে এ-ও ব্যাখ্যা করেন যে, ওজন ঝরাতে তিনি উপবাস পালনের কথা বলেছেন। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের কথা বলেননি।
করণ কুন্দ্রার কাজ:
একাধিক রিয়েলিটি শো এবং স্ক্রিপ্টেড প্রজেক্টের কাজে আপাতত ব্যস্ত রয়েছেন করণ কুন্দ্রা। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘লাফটার শ্যেফস সিজন ২’-এ। এই শো সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ভারতী সিং এবং বিচারকের আসনে ছিলেন হরপাল সিং সোখি। এই শোয়ে এলভিশ যাদবের সঙ্গে জুটি বেঁধে জিতেছেন করণ।