জগদীপের গলার আওয়াজটাই ছিল একেবারে অন্য রকম। তাঁর গলাতেই জ্যান্ত হয়ে উঠত চরিত্র। শোলে, পুরানা মন্দির-এর মতো একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। জগদীপ শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। বি.আর. চোপড়ার ‘আফসানা’য় এক্সট্রা শিশু শিল্পী হিসাবে কাজে যোগ দেন । ‘অব দিল্লি দূর নেহি’ ছবিতে প্রথম শিশু শিল্পী হিসাবে কাজ করেন । এরপর কে.এ আব্বাসের ‘মুন্না’, গুরু দত্তের ‘আর পার’, বিমল রায়ের ‘দো বিঘা জমি’ ছবিতে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন জগদীপ । এর পর তো শোলে' রয়েছেই। জীবনকালে ৪০০-র বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি । তার মধ্যে অবশ্যই উল্ল্যেখযোগ্য ‘শোলে’র সুরমা ভোপালির চরিত্র । তাঁর বিখ্যাত ডায়লগ ‘মেরা নাম সুরমা ভোপালি অ্যায়সে হি নেহি হ্যায়’ সিনেপ্রেমীরা ভুলতে পারবেন না । জগদীপের ছেলে জাভেদ জাফরি এখনও কিছু জানাননি বাবার মৃত্যুতে। তবে কমেডিয়ান হিসেবে তিনিও বেশ নাম করেছিলেন। কিন্তু জগদীপ ছিলেন অন্য জগতের মানুষ। ‘ব্রহ্মচারী’ ছবি থেকে বলিউডের পাকাপাকি কমিডি অভিনেতা হয়ে যান তিনি । তাঁর কমেডি স্টাইল ভোলার নয়।
advertisement
জগদীপের মৃত্যুতে শোকাহত বলিউড। তবে তাঁর মৃত্যুর পরেই জগদীপের একটি ভিডিও পোস্ট হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা মুহূর্তে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এই ভিডিওটি জগদীপের বেঁচে থাকার সময়কার। অসুস্থ তিনি, তা বোঝা যাচ্ছে। জড়িয়ে যাচ্ছে কথা। তাও মানুষকে হাসাতে ভুললেন না তিনি। মাথায় হলুদ টুপি, হলুদ পঞ্জাবি। জগদীপ সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তাঁকে জন্মদিনে ফেশবুক ও ট্যুইটারে সকলে উইশ করেছে। সকলকে তিনি ভিডিও করে শুভেচ্ছা জানালেন। বললেন, "আমি সব দেখেছি। আপনারা আমায় কত ভালবাসা দিয়েছেন। যা ভোলার নয়।" এর পর তিনি বলেন, 'ভগবান যদি ট্রফি না দেয় তাহলে তো আর কেউ দেবে না। আমি তো হাসতে হাসতেই জীবন কাটিয়ে দিলাম।" বললেন, "ম্যায় মুস্কুরাহাট হু, জগদীপ হু। এস হাসতে হাসতে আর যাও হাসতে হাসতে।" এই ভিডিওটিই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট হওয়া জগদীপের শেষ ভিডিও। এই অভিনেতা এতটা অসুস্থ থেকেও অনায়াসে বলতে পারেন জীবনের কথা। হাসির কথা। বেঁচে থাকার কথা। জগদীপ শেষ হওয়ার নয়। মানুষের মনে তিনি চীরকাল বেঁচে থাকবেন। তাঁর অভিনয় থেকে যাবে।