ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের কাছেও এক কথা জানিয়েছেন গোবিন্দা। বলেছেন যে স্বপ্নে সাক্ষাৎ জগন্নাথ তাঁকে শ্রীমন্দিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই আদেশ অমান্য করার ক্ষমতা তাঁর নেই। তাই তিনি আরাধ্যের ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে এসেছে তড়িঘড়ি। পাশাপাশি জানিয়েছেন যে এযাবৎ যত রকমের দুঃখ-কষ্ট তিনি পেয়েছেন, সব দূর হয়ে গিয়েছে দারুব্রহ্মের দর্শনে।
advertisement
পাশাপাশি, গোবিন্দার বক্তব্যের দু'টি দিক কিছুটা হলেও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে প্রথমটি জড়িয়ে রয়েছে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে। রাজনীতিতে যোগ দেওয়া যে তাঁর জীবনের অন্যতম বড় ভুল ছিল, সে কথা কখনই লুকিয়ে রাখার প্রয়োজন বোধ করেন না গোবিন্দা। কিন্তু এবার তাঁর বক্তব্যে রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে সুর কিছু তীব্র। তিনি বলছেন যে রাজনৈতিক জীবন তাঁকে যত যন্ত্রণা দিয়েছে, তেমনটা সারা জীবনে তিনি কোনও দিন ভোগ করেননি! গোবিন্দার সাফ কথা- রাজনৈতিক জীবনের সব ক্লেশ আমার জগন্নাথ হরণ করে নিয়েছেন, এখন জীবনে আনন্দ ছাড়া আর কিছুই নেই!
এই পর্যন্ত নায়কের বক্তব্য একরকম! অনেক ভক্তই তীর্থক্ষেত্রে পুজো দিয়ে যা বলে থাকেন, তার সঙ্গে গোবিন্দার বক্তব্যের কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু এর ঠিক পরের ধাপে যা বলেছেন নিজের মুখে গোবিন্দা, তাতে চমকে উঠতে হচ্ছে। গোবিন্দা স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে জগন্নাথের দর্শনের পর তাঁর আর বৈষয়িক জীবনের কোনও কষ্ট নেই! এখন থেকে আমার জীবন জুড়ে থাকবে কেবলই দিব্য আনন্দ আর আধ্যাত্মিকতা! আর এখান থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে দাবানলের মতো জিজ্ঞাসা- আজীবন দিব্য আনন্দ এবং আধ্যাত্মিকতায় বুঁদ হয়ে থাকার অর্থ কি সন্ন্যাস গ্রহণ?
নায়ক বা তাঁর স্ত্রী সুনীতা মুঞ্জল আহুজা (Sunita Munjal Ahuja), কেউ এখনও পর্যন্ত কৌতূহল চরিতার্থ হওয়ার মতো কোনও উত্তর দেননি! শুধু উত্তেজনা জিইয়ে রেখেছেন তাঁরা!
Written By: Anirban Chaudhury
