নাচের শেষে লজ্জা পেয়ে যায় আরাধ্যা। সে তক্ষুনি তার মাকে জড়িয়ে ধরে। মেয়ের নাচ যে বেশ ভালো হয়েছে, সেটা বোঝাতে ঐশ্বর্যও তাকে আলিঙ্গন করেন স্নেহের সঙ্গে। বচ্চন পরিবারের তিন সদস্যের এই নাচের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই ভাইরাল হয়ে যায়। ঐশ্বর্য একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী। ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পশ্চিমি নাচেও জুড়ি নেই পর্দার যোধাবাঈয়ের। বোঝাই যাচ্ছে যে আগামী দিনে আরাধ্যাও একজন ভালো নৃত্যশিল্পী হয়ে উঠবে।
advertisement
কিছু দিন আগেই বিয়েবাড়ির নানা ছবি পোস্ট করা হয়। দেখা যায় যে জুনিয়র বচ্চন দম্পতি কালার কো-অরডিনেট করে পোশাক পরেছেন। ঐশ্বর্য ও অভিষেক দু'জনকেই বেজ রঙের এমব্রয়ডারি করা পোশাকে দেখা যায়। কিন্তু আরাধ্যা পরেছিল লাল টুকটুকে রঙের লেহঙ্গা। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়েও যথেষ্ট সচেতন ছিলেন তাঁরা। পোশাকের রঙের সঙ্গে তাল মিলিয়েই বেজ আর লাল রঙের মাস্ক পরেছিলেন তাঁরা।
গত এক মাস ধরে ঐশ্বর্য, অভিষেক ও আরাধ্যা ছিলেন হায়দরাবাদে। সেখানে ঐশ্বর্য তামিল ছবি পন্নিইন সেল্ভান (Ponniyin Selvan)-এর শ্যুটিং করছিলেন। এই মাসেই তিনি শ্যুটিং শেষ করে মুম্বইয়ে ফিরেছেন। যখন তাঁরা হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন, তখন ট্রোলের মুখোমুখি হন ঐশ্বর্য। ছোটবেলা থেকেই আরাধ্যা মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছে। ঐশ্বর্য মেয়ের হাত ধরে ছিলেন বলেন বিরক্ত হয়ে যান নেটিজেনরা। তাঁরা বলেন- এখন মেয়ে ন’বছরে পা দিয়েছে, এখন আর হাত ধরার দরকার নেই! মায়ের সঙ্গে ঘোরার জন্য এর আগে ট্রোলড হয়েছেন আরাধ্যাও। সে স্কুলে না গিয়ে শুধুই মায়ের সঙ্গে দেশ-বিদেশে ঘোরে না কি, এটাও জানতে চান অনেকে!