১৪ মে, আজ প্রয়াত প্রবাদপ্রতিম পরিচালক মৃণাল সেনের ৯৭ তম জন্মবার্ষিকী ৷ মৃণাল সেন জন্মদিন সম্পর্কে তাঁর অটোবায়োগ্রাফিতে লিখেছিলেন, ‘I am one year younger than what I’ll be in next year’ ! ১৯২৩ সালে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম হয় মৃণাল সেনের ৷ তবে পড়াশুনো, প্রথম চাকরি সবই কলকাতায় ৷ জীবিকা শুরু করেন মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটিটিভ হিসেবেই ৷ তবে ছাত্র জীবন থেকেই কমিউনিজম, গণ্যনাট্যের সঙ্গে পরিচয় তাঁর ৷ মৃণাল সেন তাঁর আত্মজীবনী তে বার বারই বলেছেন, এই গণনাট্যই তাকে ছবি করতে বার বার অনুপ্রাণিত করেছে ৷ মৃণাল সেনের কথায়, গণনাট্যের জন্যই দেশের মাটিকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন ৷ গ্রামগঞ্জের ভিতরে ঢুকে আসল জীবনকে দেখেছেন ৷ দেখেছেন মানুষের লড়াইকে ৷ আর এই অভিজ্ঞতাই তাঁর ছবি তৈরির অন্যতম উপাদান ৷
advertisement
১৯৫৫ সালে মৃণাল সেন তৈরি করেন প্রথম ছবি ‘রাতভোর’ ৷ মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি ৷ ফিল্ম সমালোচকরাও খুব একটা ভালো চোখে দেখেননি এই ছবিকে৷ তবে এই অসফলতায় আটকে থাকেননি মৃণাল ৷ এরপরই তৈরি করেন ‘নীল আকাশের নিচে’ ৷ এই ছবি শুধু সাফল্য নয়, সত্যজিৎ ও ঋত্বিকের পাশাপাশি বাংলায় যে মৃণাল সেন আছেন তারও এক আভাস দিতে স্বচেষ্ট হয় ৷
এরপর একে একে ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘ভুবন সোম’, ‘একদিন প্রতিদিন’, ‘খারিজ’, ‘ইন্টারভিউ’, ‘ক্যালকাটা ৭১’, ‘পদাতিক’ ৷ এতদিনে তিনি বাংলা সিনেমায় নতুন ধারা শুরু করে ফেলেছেন ৷ তৈরি করেছেন ‘মৃগয়া’, ‘মহাপৃথিবী’, ‘অন্তরীণ’ ৷ ২০০২ সালে মুক্তি পায় তাঁর তৈরি শেষ ছবি ‘আমার ভুবন’ !