এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে স্নিগ্ধা দাবি করেছেন যে, রাখির (Rakhi Sawant) স্বামী বলে যিনি নিজেকে দাবি করেছেন, তিনি আসলে তাঁর বর। তাঁদের ৬ বছরের এক কন্যা সন্তান আছে। ঋতেশ সিং নয়। আসল নাকি ঋতেশ কুমার। ঋতেশ স্বামী হিসেবে প্রায়ই হিংসা করতেন বলেও জানিয়েছেন স্নিগ্ধা। পাশাপাশি ঋতেশের বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসারও অভিযোগ করেছিলেন স্নিগ্ধা।
advertisement
আরও পড়ুন - ক্যাটরিনার মেহেন্দি ভরা হাতে কি রয়েছে ভিকির নাম? নবদম্পতি হানিমুনের এক ঝলক শেয়ার করলেন
স্নিগ্ধা জানিয়েছেন, ঋতেশ বিহারের বাসিন্দা। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর স্নিগ্ধার সঙ্গে বিয়ে করেন রাখি সাওয়ান্তের স্বঘোষিত স্বামী। তার পরে তাঁরা ২০১৫-র মার্চে চলে আসেন চেন্নাইতে। সেই বছরই ডিসেম্বরে স্নিগ্ধা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। স্নিগ্ধা বলছেন, "এই সাত বছরে আমরা মাত্র আড়াই বছর একসঙ্গে থেকেছি। পুরোটাই যেন অগ্নিপরীক্ষার মতো ছিল।"
স্নিগ্ধার দাবি, ২০১৭ সালের ১৮ মার্চ ঋতেশের মা ও বোন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সেই সময়ে টানা চার ঘণ্টা ধরে স্নিগ্ধাকে বেল্ট দিয়ে মেরেছিলেন ঋতেশ। অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে স্নিগ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। এর পরে হাসপাতাল থেকে বাবা মায়ের কাছে চলে গিয়েছিলেন স্নিগ্ধা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ঋতেশের বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসার অভিযোগ করেন। ঋতেশের সঙ্গে তাঁর বোন ও মায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন - ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাকে ফোটোশ্যুট কিয়ারার! বাজিমাত করলেন ফ্যাশনিস্তা
এরপরে ফের স্নিগ্ধাকে বুঝিয়ে সম্পর্ক জোড়া লাগাতে এসেছিলেন ঋতেশ। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, আর কখনও এরকম করবেন না। কিন্তু মাত্র দুমাস ভালো ভাবে ছিলেন ঋতেশ। দুমাস পরে ফের ঋতেশ আগের মতো আচরণ করতে থাকেন। এর পরে ২০১৮ এর অক্টোবরে বাড়ি ছেড়ে চলে যান ঋতেশ এবং স্নিগ্ধার নম্বর ব্লক করে দেন। তারপরে ঋতেশকে ইমে করেছিলে স্নিগ্ধা। জানিয়েছিলেন তাঁদের সন্তান তাঁকে দেখতে চাইছে। ঋতেশ ডিভোর্স দিতে চাইলেও রাজি হননি স্নিগ্ধা। আর তাই সত্যিই ঋতেশ রাখিকে (Rakhi Sawant)বিয়ে করেছেন বলে মানতে নারাজ স্নিগ্ধা। প্রাক্তন স্ত্রী এও বিশ্বাস করেন না যে, তিনি বেলজিয়ামের বাসিন্দা।