আরও পড়ুন: দার্জিলিং-সফরের পরই শেষ! সব প্রস্তুতি সারার পর বিয়ে ভাঙার অভিযোগ ‘সারেগামাপা’র গায়কের বিরুদ্ধে
মালদহ শহরের অনেকেই এখন তাঁর বেহালার সুর শোনার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। একটা বা দু’টো গান শোনার পর খুশি হয়ে কিছু টাকা তুলে দেন ভগবান বাবুর হাতে। তাই দিয়েই ভগবান বাবুর সংসার চলে। শুধুমাত্র মালদহ শহর নয়, বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় পৌঁছে যান বেহালা নিয়ে। ভগবান মালি বলেন, ”ছোটবেলায় বাবার কাছে শিখেছি। আমার খুব প্রিয় এই বেহালা বাজানো। তাই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেহালা বাজাযই। মানুষ আমার সুর শুনে খুশি হয়ে যা টাকাপয়সা দেন, তাতেই আমার সংসার চলে।”
advertisement
মালদহ শহরের বালুচর এলাকায় বাড়ি ভগবান মালির। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী-সহ তিন সন্তান। বর্তমানে তিনি আর কাজ করেন না। শহরের এই প্রান্ত ও প্রান্ত ঘুরে ঘুরে বেহালা বাজান। খুব ছোটবেলা বাবার কাছে শিখেছিলেন বেহালায় সুর তোলা। তারপর থেকেই নিজের তালে নিজের খেয়ালে বেহালা বাজিয়ে চলেছেন। এখন এই বেহালায় তাঁর নিত্যসঙ্গী। প্রিয় বেহালাটি পুরনো হয়ে গিয়েছে। কোনওক্রমে তিনি নিজেই সেটিকে সারিয়ে তোলেন। আপন খেয়ালে কোথাও বসে সুর তোলেন। সুরের জাদুতে তাঁকে ঘিরে ধরেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে বেহালা বাজিয়ে তিনি রোজগার করছেন দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। আর তাতেই চলে যাচ্ছে তাঁর সংসার।
হরষিত সিংহ