তিনি বললেন, ‘আমরা যখন কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র, তখন আমাদের চারপাশে যে গান হচ্ছিল, তার সঙ্গে জীবনের কোনও মিল ছিল না৷ সেই, ‘খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার’ বা জলসাঘরের বেলোয়ারি ঝাড়, এই ছিল গানের বিষয়বস্তু৷ আমরা ছাত্রবস্থায় ছিল আকাশে বাতাসে বারুদের গন্ধ৷ এই গান সাড়া দিচ্ছিল না৷ সেই সময় সাগর পেরিয়ে কিছু গান আমাদের কানে এসেছিল, যেগুলিকে আমাদের মানব সভ্যতার সম্পদ মনে হয়েছিল, কারণ যেমন পল রবসনের গান৷ এগুলোর কোনও পাসপোর্ট লাগে না৷ তখনই আমার মনে হয়েছিল. এগুলোর যদি ভাষান্তর করতে পারি, তা হলে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে, যে এমন গানও হয়৷ যে গান গাইতে গাইতে মানুষ উদ্ধত বেয়োনেটের সামনে এগিয়ে গিয়েছে, যে গান সঙ্গে নিয়ে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে, সেইগুলোই আমার গানের বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে৷’
advertisement
আরও পড়ুন - '৬০ দিন ছাড়ুন, রাস্তায় আমাদের মতো তাঁবু খাটিয়ে ৬ দিন থাকুন!' চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
আরও পড়ুন - শুভেন্দুর সঙ্গে হোটেলে গোপন বৈঠক চার তৃণমূল নেতার? পোস্টারে ছয়লাপ তমলুক
কেমন ছিল সেই গান প্রস্তুতির প্রক্রিয়া? শিল্পী বলছেন, ‘গান তৈরির প্রক্রিয়া ছিল কঠিন৷ নির্দিষ্ট মিউজিক্যাল সীমার মধ্যে অনূদিত গানগুলিকেও বাঁধতে হয়েছিল৷ আর একটা কথা বলার মতো, আমি ‘জামাইকা ফেয়ারওয়েল’ অনূবাদ করার পর অনেকে সেটা অনূবাদ করতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার সৃষ্টিটাই রয়ে গিয়েছে৷ কারণ, আমি অন্তর থেকে সেটা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলাম৷’
বাংলা আধুনিক গানের ক্ষেত্রে বিশ্ব সঙ্গীতের বিভিন্ন ধারা, বিভিন্ন সময়ে এসে মিশেছে৷ ক্যাকটাস ব্যান্ডের সিধু বলছেন, ‘বাঙালির মধ্যে যাঁরা ইংরাজি গান দু’তিনটি শুনেছেন, সেই তালিকায় একটি গান অবশ্যই ‘জামাইকা ফেয়ারওয়েল৷’
আমেরিকার কান্ট্রি মিউজিক বা স্বদেশী গানকে যে ভাবে বিশ্বের দরবারে নিয়ে এসেছিলেন হ্যারি বেলাফন্টে, তার কোনও তুলনাই সত্যি নেই৷ তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের মতো৷ একটি বিশেষ ধারার গান গেয়ে গিয়েছেন বেলাফন্টে৷ তাঁকে অনুসরণ করে কয়েক হাজার সঙ্গীতশিল্পী সঙ্গীত সৃষ্টি করে গিয়েছেন৷’