বীরভূমের সিউড়ির ভট্টাচার্য পাড়ার বাসিন্দা প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী রতন কাহার। একসময় ‘আলকাপ’-এর দলে যোগ দিয়েছিলেন। যাত্রাদলে ‘ছুকরি’ সাজার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।যৌবন থেকেই তিনি বেঁধেছেন অজস্র ভাদু ও ঝুমুর গান।পুরস্কার-শংসাপত্র যা পেয়েছেন, তা আর রাখার জায়গা নেই একচিলতে পাকা ঘরে।তবে অভাব নিত্যসঙ্গী তাঁর। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে এমনটাই জানালেন তিনি। যেখানে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি জনপ্রিয়তা লাভ করছে সেখানেই রতন কাহারের মতো এক শিল্পীর অভাব যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।
advertisement
শিল্পীর চোখে মুখে বয়সের ভার লক্ষ করা যায়। আগের মতো সেই ভাবে আর চলাফেরা এবং গান গাওয়া হয়ে ওঠে না। তবে চর্চা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন আজও। তিনি বলেন তিনি কখনও কারওর কাছে হাত পাততে শেখেননি।আর সেই কারণেই আজ অভাব তার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভাব এর সঙ্গেদিন কাটাচ্ছেন তিনি।লোকলজ্জার ভয়ে ক্যামেরার সামনে কিছু তিনি না জানালেও তিনি আমাদের একান্ত ভাবে জানান ‘তাঁর মাস গেলে ওষুধের খরচ হয় তিন থেকে চার হাজার টাকা’। মাসের শেষে সেই টাকা কোথায় থেকে আসবে সেই নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়।
আরও পড়ুন : মুখ খুললেই গলগলিয়ে বার হয় পচা দুর্গন্ধ? ৫ সহজ কাজেই ভ্যানিশ গন্ধ! লজ্জা, সঙ্কোচ, অস্বস্তি কাটবে আপনারও!
তিনি বলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার পর তার সম্মান বাড়লেও বাড়ছে না আয়ের অঙ্ক।অনুষ্ঠানে মেলে না সাম্মানিক, সংসার চালাতে হিমশিম ‘পদ্মশ্রী’ রতন কাহারের।শুধু ‘বড়লোকের বিটি লো’ নয়, এর পাশাপাশি তিনি লিখেছেন একাধিক গান।তবে তাঁর লেখা আজ সমস্ত গানের খাতা মোড়া রয়েছে মাকড়সার জালে।আজ কেউ তাঁর খোঁজ রাখেন না।