তবে বাপ্পি লাহিড়ি ছিলেন শান্ত মেজাজের মানুষ৷ এক পার্টিতে কিংবদন্তি অভিনেতা রাজকুমারের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ বিশেষ সুখকর ছিল না৷ পার্টিতেও যথারীতি সেজেগুজে গয়না পরে গিয়েছিলেন বাপ্পি৷ শোনা যায়, তাঁকে দেখে রাজকুমার নাকি বলেছিলেন, বাপ্পি সবই পরেছেন৷ শুধু মঙ্গলসূত্রটাই যা বাকি আছে! ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন, এই কটু মন্তব্য ভাল লাগেনি সুরকারের৷ তবে তিনি পার্টির ছন্দ নষ্ট করতে চাননি৷ তাই সেই পার্টির সুরও কাটেনি৷
advertisement
আরও পড়ুন : ‘মামাজি’ কিশোর কুমারের হাত ধরেই সিনেমায় প্রথম অভিনয় বাপ্পির
তির্যক মন্তব্য ও কটূক্তি উড়িয়ে নিজের মতো কাজ করে গিয়েছেন বাপ্পি৷ সাজপোশাক ও সুরছন্দে ছক ভেঙেছেন বার বার৷ রাহুল দেব বর্মনের হাত ধরে সূত্রপাত শুরু হলেও বলিউডে ডিস্কো বিপ্লব হয়েছিল বাপ্পি লাহিড়ির সুরসৃষ্টিতেই৷ আট ও নয়ের দশক জুড়ে তিনি একের পর এক উপহার দিয়েছেন ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘চলতে চলতে’, ‘নমক হলাল’-এ মতো ছবি৷ নিজেকে করে তুলেছিলেন ভারতীয় সঙ্গীত জগৎ তথা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব৷ বাংলা ছবিতেও একাধিকবার সুর দিয়েছেন তিনি৷ নিজে সুরে গেয়েওছেন বেশ কয়েকবার৷ ২০২০ সালে ‘বাগী থ্রি’ ছবির ‘ভঙ্কস’ ছিল বাপ্পি লাহিড়ির সুরারোপিত শেষ বলিউডি গান৷
আরও পড়ুন : চিরদিনই তুমি যে আমার, যুগে যুগে আমি তোমারই, ঘুরে ফিরে এই লাইনটা মনে পড়ছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের
আরও পড়ুন : ৩ বছর বয়সে হাতেখড়ি তবলায়, মামা কিশোর কুমারের দেখানো পথেই পা রেখেছিলেন ভাগ্নে বাপ্পি
কিন্তু কেন এত গয়না পরতেন বাপ্পি লাহিড়ি? সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সোনার গয়না পরার পর থেকে সুসময় তাঁর সঙ্গী হয়েছিল৷ একের পর এক গান হিট করেছিল৷ তাই তিনি স্বর্ণালঙ্কারকে আপন করে নিয়েছিলেন৷