পরে কলকাতা ছেড়ে ১৯ বছরের কিশোর বাপ্পি চলে যান মু্ম্বই৷ বাকিটা ইতিহাস বলিউডের অলিগলিতে৷
তবে পারিবারিক ঐতিহ্যটুকুই তিনি সম্বল করেছিলেন৷ কোনও ছত্রছায়া নয়৷ সঙ্গীত দুনিয়ায় নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন স্বক্ষমতায় ও প্রতিভায়৷
আরও পড়ুন : বলিউডে যাত্রাপথের শুরুতেই লতার সঙ্গে দ্বৈত, মুম্বই থেকে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কলকাতায় চলে এলেন কেন?
advertisement
মুম্বইয়ে পা রাখার জন্য সামিল হতে হয়েছিল কঠোর প্রতিযোগিতায়৷ হিন্দি ছবিতে সুযোগ পাওয়ার আগে বাংলা ছবিতেও গান গেয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন : মুক্তিযুদ্ধে গীতশ্রীর অবদান ভুলবে না ওপার বাংলা
আরও পড়ুন : নবীন প্রজন্মের সঙ্গে ছিল নিবিড় যোগাযোগ, তাঁর প্রজন্মজয়ী সুরের আনন্দঝর্নায় সিঞ্চন অনন্ত
১৯৭৩ সালে ‘ননহা শিকারি’ ছবিতে সুরকার হিসেবে প্রথম কাজ করেন ২১ বছর বয়সি বাপ্পি লাহিড়ি৷ প্রচারের আলো তাঁর উপর পড়ে আরও দু’ বছর পর, ১৯৭৫ সালে৷ ‘জখমি’ ছবিতে তাঁর সুর এবং কণ্ঠ কেড়ে নেয় দর্শক তথা শ্রোতার মন৷ সঙ্গীতের নানা শাখায় তাঁর ছিল অনায়াস বিচরণ৷ ‘নাথিং ইজ ইম্পসিবল, কেহতা হুঁ ম্যায় সচ বিলকুল’ গানে কিশোর কুমার, মহম্মদ রফির-র সঙ্গে গেয়েছিলেন তিনি৷ দুই মহারথীর পাশে জায়গা করে নিয়েছিল নবাগতর কণ্ঠ৷ যত দিন বলিউড থাকবে, যত দিন হিন্দি ছবিতে গান থাকবে, তত দিন থাকবে ডিস্কো কিং বাপ্পি লাহিড়ির রাজপাট৷ হিন্দি ছবিতে পপ সঙ্গীতের চারণভূমি তৈরি হয়েছিল তাঁর হাতেই৷