বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঢাকার এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পরীমণির দাদু। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণেই প্রয়াত তিনি। সূত্রের খবর, দাদুর বয়স সম্ভবত ১০০ ছাড়িয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরীমণির ম্যানেজার তুরাণ মুন্সী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দাদুর জন্মস্থান পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁর স্ত্রীর মরদেহের পাশেই তাঁকে কবর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রিয়জনকে হারালেন পরীমণি! ছেলেকে নিয়ে একা হয়ে গেলেন বাংলাদেশের নায়িকা
মাত্র তিন বছর বয়সে মাকে হারিয়েছেন পরীমণি। তারপর মা-হারা মেয়ে ২০১২ সালে বাবাকেও হারান। তাঁর মায়ের বাবা, দাদুই পরীমণিকে বড় করেছেন। কঠিন সময়ে দাদুই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বারবার। সেই দাদুই এবার একা ফেলে চলে গেলেন এক মা-ছেলেকে।
দাদুর কবরের ছবি পোস্ট করে দীর্ঘ লেখা লিখলেন বাংলাদেশের নায়িকা। যেখানে পরতে পরতে তাঁর বুকফাটা কান্না প্রকাশ পাচ্ছে। ইনস্টাগ্রামে লিখলেন, ‘এই কবর স্থানে এখন তিনটে কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি, আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর… এই জীবনে আমার নানার মতো কেউ আমাকে ভালবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কী ছিল। আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে। এর থেকে বড় কোনও শোক আমার আর আসবে না… জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর।’