চক্রবর্তী পরিবারের এক আত্মীয়ের যোগাযোগ ছিল সিনেমাজগতে। সেই সূত্রে পরিচালক তপন সিংহকে চিনতেন তিনি। সিনেমার জন্য যখন বাগান খুঁজছেন পরিচালক, তখন সেই আত্মীয়ই তপনবাবুকে বারুইপুরে ওই বাগানে শুটিংয়ের প্রস্তাব দেন। সরেজমিনে দেখতে আসেন তপনবাবু। বাগান পছন্দ হয় তাঁর। এরপরেই শুরু হয় শুটিং। চক্রবর্তী বাড়ির বর্তমান কর্তা দীপক চক্রবর্তী শুটিংয়ের সময় ছিলেন কিশোর।
advertisement
আরও পড়ুন : সাজানো বাগান বা আদর্শ হিন্দু হোটেলের রান্নাঘরই নয়, তাঁর যত্নে লালিত বাঙালির মনন ও যাপন
তিনি জানান, টানা প্রায় এক মাস শুটিং চলেছিল এখানে। শুটিং চলাকালীন বারুইপুরেই একটি বাড়িতে থাকতেন মনোজবাবু-সহ অন্য কলাকুশলী। দীপকবাবু জানান, বর্তমানে ওই বাগানে মাঝেমধ্যে সিনেমার শ্যুটিং হয়। শীতকালে বনভোজনেও আসেন কেউ কেউ। কিন্তু এত বছরেও কয়েক বিঘা জুড়ে বিস্তৃত ওই বাগানের তেমন পরিবর্তন হতে দেননি তাঁরা। একইরকম আছে প্রাচীন আমগাছগুলি। বাগানের গাছ-গাছালি, পাখি, প্রাণিজগতের সুরক্ষার দিকে আলাদা করে নজর রাখা হয় বলেই জানান তিনি।
কয়েকবছর আগে একটি ফটোশ্যুটের জন্য আবার ওই বাগানে এসেছিলেন মনোজ মিত্র। দীপকবাবুর ছেলে চক্রবর্তী বাড়ির নবীন সদস্য দ্বৈপায়ন চক্রবর্তী জানান, বাগানে এসে অতীতের স্মৃতিতে ডুব দেন তিনি। বাগানটি একই রকম আছে দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন তিনি।