দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত বড় নাম অরবিন্দ স্বামী। ১৯৯১ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে ‘তলপতি’ ছবির হাত ধরে অভিনয় দুনিয়ায় পদার্পণ করেছিলেন তিনি। ওই ছবিতে মহাভারতের অর্জুনের দ্বারা অনুপ্রাণিত এক চরিত্রে অভিনয় করে ভক্তদের মন জিতে নিয়েছিলেন অভিনেতা। এর পর ১৯৯২ সালে সুযোগ আসে ‘রোজা’ ছবিতে অভিনয় করার। এই ছবিতে অভিনয় করে আরও একবার মুগ্ধ করেন দর্শকদের।
advertisement
১৯৯৫ সালে অভিনয় করেছিলেন ‘বম্বে’ নামে আরও একটি ছবিতে। এই দুই ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন অরবিন্দ স্বামী। ফলে মোড় ঘুরে যায় কেরিয়ারের। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আরও অনেক হিট ছবি। কাজ করেছেন মণীষা কৈরালা, কাজল এবং কঙ্গনা রানাউতের মতো বহু প্রতিভাবান অভিনেত্রীর সঙ্গে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে অ্যামাজনের ম্যানেজারকে গুলি করে খুন, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক থেকে গুলি চালায় ৫ জন!
তবে সময় তো আর এক থাকে না। অরবিন্দ স্বামীর কেরিয়ারে এমন একটা সময় আসে, যখন তাঁর সমস্ত ছবিই ফ্লপ হতে শুরু করে। এমনকী হাতছাড়া হতে থাকে একের পর এক মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগও। কেরিয়ার গ্রাফ যখন নিচের দিকে যেতে দেখে অভিনয় দুনিয়াকে একপ্রকার বিদায় জানান তিনি। খারাপ সময়ের এখানেই শেষ নয়, ২০০৫ সালে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অভিনেতা। ফলে দীর্ঘ সময় পা অবশ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। প্রায় ৪-৫ বছর ধরে চলেছিল চিকিৎসা।
এর পর বাবাকে ব্যবসায় সাহায্য করতে শুরু করেছিলেন অরবিন্দ স্বামী। আর এখানেই জীবনের মোড় ঘুরে যায় তাঁর। ব্যবসায় সাফল্য লাভ করে আজ কোটিপতি হয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, অরবিন্দ স্বামীর কোম্পানি ২০২২ সালে আয় করেছে প্রায় ৩৩০০ কোটি টাকা। তবে আজও কিন্তু অরবিন্দ স্বামীর অভিনয় নিয়ে পাগল ভক্তরা।
ফলে প্রায় এক দশক পরে ফিরেছিলেন অভিনয় জগতে। ২০২৩ সালে ‘কদল’ ছবির হাত ধরে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে জয়ললিতার জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি ‘তালাইভি’ ছবিতে এমজিআর-এর ভূমিকায় তাক লাগিয়েছিলেন অভিনেতা। ছবিতে তাঁর অভিনয় পছন্দ করেছেন ভক্তরা। অরবিন্দ স্বামীকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘কাস্টডি’ ছবিতে। যদিও তাঁর হাতে রয়েছে আরও অনেক ছবির কাজ।