গায়ক এবং সুরকার জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, 'কে কে অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবনযাপন করত৷ খাওয়া দাওয়ার বিষয়েও ভীষণ সচেতন ছিল৷ পরিবার নিয়ে সময় কাটােত ভালবাসত৷ ও যে এভাবে চলে যাবে, বিশ্বাস করতে পারছি না৷ কত স্মৃতি ভিড় করছে৷' কেকে-র সমসাময়িক শিল্পীরাও স্বীকার করছেন, গানটা হৃদয় দিয়ে গাইতেন কেকে৷
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড ঘামছিলেন, বারবার স্টেজ-এর স্পটলাইট বন্ধ করতে বলছিলেন কেকে
advertisement
মানুষ কেকে-র মধ্যে যে কোনও তারকা সুলভ অহমিকা ছিল না, তাও স্বীকার করছেন তাঁর সতীর্থ এবং ভক্তরা৷ অনুষ্ঠানের আগে পরে সহজেই মিশে যেতেন ভক্তদের সঙ্গে৷ অকাতরে বিলোতেন অটোগ্রাফ, তুলতেন সেলফি৷
আরও পড়ুন: হাসপাতালে পৌঁছলেন অরূপ বিশ্বাস, বাবুল সুপ্রিয়! কলকাতায় আসছেন কেকে-র পরিবার
গায়ক এবং বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়ও কেকে-র মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে যান৷ স্মৃতিচারণা করে বাবুল বলেন, 'কেকে একেবারে অন্যরকম ছিল৷ পার্টি করতে একেবারেই পছন্দ করত না৷ মুম্বাই দশ- পনেরো দিন গানের রেকর্ডিং করেই কোথাও ছুটি কাটাতে চলে যেত৷ কয়েকদিন আগে মুম্বাইতে এক প্রযোজকের দেওয়া নৈশভোজে দেখা হয়েছিল৷ গান, গল্প হল৷'
বিধ্বস্ত বাবুল আরও বলেন, 'আমার থেকে মাত্র দু' বছরের বড়৷ ও সঙ্গীত জগতকে আরও অনেক কিছু দিতে পারত৷ করোনার পর যে জীবন যে কতখানি অনিশ্চিত, তা আবারও প্রমাণিত হল৷'