আজকে যিনি আল্লারাখা রহমান নামে পরিচিত গোটা বিশ্বে, তাঁর জন্ম হয়েছিল অন্য পরিচয়ে। তিনি ছিলেন দিলীপ কুমার। খুব অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়ে জীবনের কঠিন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। আর তারপরই ঘুরে যায় তাঁর জীবনের অভিমুখ। একজন সুফি সাধকের অনুরাগী হয়ে পড়েন। ধর্মান্তরিত হন।
আরও পড়ুন: সপ্তমীতে বড় চমক গৌরব-ঋদ্ধিমার, সামনে আনলেন ছেলেকে, নাম জানেন?
advertisement
সম্প্রতি তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, পারকাশনিস্ট শিবমণি জানিয়েছেন এই পরিবর্তনের সাক্ষী তিনি। শিবমণি দেখেছেন কীভাবে একটু একটু করে বদলে গিয়েছেন রহমান। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিবমণি জানিয়েছেন, বাবা মারা যাওয়ার পর এক সুফি সাধকের আখড়ায় যেতেন রহমান, সঙ্গে তাঁর মা। সেখানেই অধ্যাত্ম সাধনার পাঠ নিতেন রহমান। শিবমণি বলেন, ‘আমরা স্টুডিও-তে অপেক্ষা করতাম। রহমানকে কোরানের পাঠ দিতেন তাঁর শিক্ষক।’ সেই সময় থেকেই আমূল বদলে গেলেন রহমান, জানিয়েছেন শিবমণি। রহমানের একাগ্রতা কয়েকগুণ বেড়ে গেল।
আরও পড়ুন: পুজোয় এবার হোক ভিন্ন স্বাদের মিষ্টিমুখ! স্পেশ্যাল মিষ্টি কিনতে ভিড় এই দোকানে
শিবমণি বলেন, যে দিলীপকে আমি চিনতাম, সেখান থেকে একেবারে বদলে গেল এআর।’ আধ্যাত্মিকতার পথে একেবারে নিমগ্ন হয়েছিলেন সঙ্গীত সাধক। একেবারে শান্ত হয়ে যান তিনি, জানিয়েছেন তাঁর বন্ধু শিবমণি। এমনকী স্টুডিওতে কাজ করার সময় কেউ কোনও কথাও বলতে পারেন না। কোনও বিষয় নিয়ে কৌতুক করাও নিষেধ। শিবমণি বলেন, কাজের সময় শুধু কাজ নিয়েই ভাবেন এআর। তাঁর এই মনোভাব একটা শৃঙ্খলাবোধ তৈরি করে। আর তাতেই সাফল্য আসে।
স্টুডিও-র পরিবেশও একেবারে বদলে গিয়েছিল। শিবমণি বলেন, ‘গোটা পরিবেশেই আধ্যাত্মিকতা বিরাজ করত। কাজ শুরু করার আগে, স্টুডিওতে আজান শোনা যেত… না, আজান নয় বরং আধ্যাত্মিক গুরুর কণ্ঠস্বর। তারপর আমরা শুরু করতাম। সন্ধ্যায় স্টুডিওতে ধূপ জ্বলত। ঈশ্বরের সঙ্গে খুব আধ্যাত্মিক সংযোগ তৈরি হত। তারপর রহমান কাজ শুরু করতেন।’
প্রায় ২৩ বছর আগে নিজের বিশ্বাসের কথা শুনিয়েছিলেন রহমান। সেটা ২০০০ সাল, রহমান বলেছিলেন দিলীপ কুমার থেকে এআর রহমান হয়ে ওঠার কথা। অদ্ভুত কাকতালীয় বিষয় হল, এ আর রহমানের স্ত্রীর নাম সায়রা বানু। বলিউডের তারকা অভিনেতা দিলীপ কুমারের স্ত্রী-র নামও সায়রা বানু।