যাঁরা ছবিটির হিংসাত্মক এবং লিঙ্গবিদ্বেষী বিষয়বস্তু নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাঁদের এহেন প্রতিক্রিয়া নিয়ে নিজের মতামত জানালেন অনুরাগ কাশ্যপ। News18 Showsha-র কাছে একটি এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউয়ে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে অনুরাগ জানালেন যে, “আমি এখনও ‘অ্যানিম্যাল’ দেখিনি। আমি সদ্য মার্যাকেশ থেকে ফিরেছি। কিন্তু অনলাইনে যেসব কথাবার্তা চলছে, সেটা কিন্তু আমি জানি। একজন চিত্রপরিচালকের কেমন ধরনের ছবি বানানো উচিত এবং কেমন ছবি বানানো উচিত নয়, সেটা বলার অধিকার কিন্তু কারও নেই। আমাদের দেশের মানুষ খুব সহজেই ছবি নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে। এমনকী তাঁরা তো আমার বানানো ছবি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আমি আশা করি যে, শিক্ষিত মানুষেরা এত সহজে অসন্তুষ্ট হবেন।”
advertisement
আরও পড়ুন: KIFF পড়তে গিয়ে KISS পড়েছি ভুল করে! চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে উঠেই মস্করা সলমন খানের
সন্দীপের প্রথম বলিউড ছবি শাহিদ কাপুর অভিনীত ‘কবীর সিং’ মুক্তি পাওয়ার পরে তা নিয়ে যেসব কথাবার্তা হয়েছিল, সেটার কথাও স্মরণ করেন অনুরাগ। কীভাবে উস্কানিমূলক ছবিকে জায়গা দেওয়া উচিত, সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনুরাগের বক্তব্য, “কবীর সিং ছবির সময়েও এমন ধরনের আলোচনা হয়েছিল। যে কোনও ছবি তৈরির করার অধিকার রয়েছে চিত্রপরিচালকদের। এমনকী তাঁরা যেটা চাইছেন, সেটা উপস্থাপন করারও অধিকার রয়েছে। তবে আমরা সমালোচনা আর তর্ক করতে পারি। তাঁদের সঙ্গে ভিন্নমতও পোষণ করতে পারি। প্রতিটি ছবিই উত্তেজনা-উস্কানি অথবা উত্তেজনার সঞ্চার করতে পারে। উস্কানিমূলক ছবি তৈরি করা চিত্রপরিচালকদের সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই।”
‘কেনেডি’ পরিচালক আরও বলেন, “নৈতিকতা ঠিক কী? এটা খুবই বিষয়ভিত্তিক জিনিস। প্রতি ধরনের চরিত্র এবং মানুষ আমাদের সমাজে রয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ ভারতীয় পুরুষ কবীর সিংয়ের মতোই। তাই ওই বিষয়বস্তু নিয়ে আমার তেমন কোনও আপত্তি নেই।” এরপরে অনুরাগ বলে চলেন, “ছবিটির একমাত্র সমস্যা হল অন্যান্য চরিত্রের তেমন কোনও জোর ছিল না। কেন্দ্রীয় চরিত্রকে জোরালো করার জন্য তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে। সেটা অবশ্যই একটা আলোচনা, যেটা হওয়া উচিত। সুস্থ বিতর্ক হওয়া উচিত। তবে আমরা একে অপরকে বাতিল করে দিতে পারি না।”
এর পাশাপাশি অবশ্য অ্যানিম্যাল দেখার ইচ্ছা প্রকাশও করলেন অনুরাগ। তাঁর বক্তব্য, “‘আমি ‘অ্যানিম্যাল’ দেখার পরেই সেটা নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করতে পারব। তারপরে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলব। যেটা আমি সব সময় করে থাকি। ছবি নিয়ে আমার যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তাহলে আমি সব সময় পরিচালককে ফোন করে তাঁর সঙ্গে কথা বলি। তবে আমি সোশ্যাল মিডিয়ার গালগল্পে ঢুকতে চাই না।”