এর পর খবর হয় অনুপ সোনি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। তবে অনুপ এই খবরের সত্যতায় ফের ট্যুইট করে জানান, " সবাইকে বলছি, শুধু আমি না আমাদের গোটা 'বালিকা বধূ' টিম রামবৃক্ষের সাহায্য করছে। আমরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সব রকম ভাবে তাঁকে সাহায্য করা হবে।"
তবে রামবৃক্ষ শুধু জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল বালিকা বধূ-র পরিচালক ছিলেন না। তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন যশপাল শর্মা, রণদীপ হুডাদের সঙ্গেও। আজমগড়ের সেই ভূমিপুত্র লকডাউনের শুরু থেকেই কর্মহীন। বহুদিন অপেক্ষা করতে করতে যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে, অগত্যা বাজারে সবজি নিয়েই বসছেন তিনি।
রামবৃক্ষের বাড়ি আজমগড়ের ফারাবাদ অঞ্চলে। ২০০২ সালে সাহিত্যিক বন্ধুর হাত ধরে মুম্বই আসা। প্রথম প্রথম লাইন ইউনিটে কাজ করতেন তিনি। ধীরে ধীরে পরিচালনায় আসেন। বালিকা বধূর মতো সিরিয়ালে ইউনিট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন তিনি। কাজের সামর্থ্যই তাঁর সামনেই একের পর এক সুযোগ নিয়ে আসে। কোনও সুযোগই হাতছাড়া করেননি রামবৃক্ষ। সুনীল, শেট্টি, রণদীপ হুডাদের সঙ্গে কাজ করার পরে ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রিতেও নিজেকে মেলে ধরেন। কিন্তু এই মসৃণ যাত্রায় বাধ সাধে করোনা একটি ছবির রেইকিতে বেরিয়ে ঘরে পাড়ি জমান রামবৃক্ষ। কিন্তু আটকে যান লকডাউনে। প্রোডিউসাররাও ছবির কাজ গুটিয়ে নিতে থাকেন।
শেষে বাধ্য হয়েই হরবংশপুরে একটি সবজি দোকান দেন রামবৃক্ষ। রামবৃক্ষের অবশ্য আক্ষেপ নেই। তিনি অক্লেশেই বলেন, "এখন এই কাজটা করেই রোজগার করা যাচ্ছে তাই করছি। কোনও কাজই ছোটবড় নয়। পরে সুযোগ হলে সিনেমার কাজ করব আবার।" তবে রামবৃক্ষের কষ্টের দিন শেষ। গোটা 'বালিকা বধূ'র টিম তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছে। করোনা সব কেড়ে নিলেও, মানুষের মানবিকতা কাড়তে পারেনি।