The Quint-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সেই অংশ উল্লেখ করেছে Indian Express। সেখানে অনশুলাকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, ’আত্মবিশ্বাসের একটা অভাব যেন আমার মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। কারণ যখন আমি ৫ অথবা ৬ বছরের শিশু, সেই সময়ই আমার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। দীর্ঘকাল আমি ভেবে এসেছি যে, আমার জন্যই আমার মা-বাবার সম্পর্কটা টিকতে পারেনি। অর্থাৎ সম্পর্কটা ভেঙে যাওয়ার মূল কারণই হলাম আমি। আর একটা ছয় বছরের শিশুকে এই ভার বয়ে বেড়াতে হয়েছে। কিন্তু আমার মা-ই সেই মানুষ, যিনি আমায় এটা বুঝিয়েছিলেন যে, ‘সম্পর্কটা কেবল দু’টি মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠে। আর দু’টি মানুষের মধ্যে সব কিছু ঠিক থাকলে কিংবা না থাকলেই সম্পর্ক শুরু হয় কিংবা ভেঙেও যায়। আর একজন ছোট মানুষ হিসেবে এর দায় তোমার কখনওই নয়।’
advertisement
কীভাবে বনি আর মোনার বিবাহবিচ্ছেদের কারণে সমাজ থেকে বাঁকা মন্তব্য উড়ে এসেছিল, সেই বিষয়টাও তুলে ধরেছেন অনশুলা। তাঁর কথায়, ’আমার জীবনের এমন একটি মুহূর্তের কথাও মনে পড়ে না – এমনকী ছোটবেলাতেও – যখন আমি একবারের জন্যও প্রাণোচ্ছল হতে পারিনি। আমার মা-বাবার বিচ্ছেদের সময়টায় আসলে কেউই বুঝে উঠতে পারছিলেন না যে, কী চলছে! সেই সময় বিষয়টা ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। আশপাশের আন্টিরা আমাদের দিকে বাঁকা চাউনি দিতেন। মনে হত যেন তাঁরা আমাদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। আবার আমরা কোনও আড্ডায় ঢুকলে আচমকাই তাঁরা যেন চুপ করে যেতেন। অন্যরা যেন কথাই বলতে চাইতেন না। আর এতে তো মনের উপর প্রভাব পড়বেই। আর সেটাই মানুষকে আরও কঠিন করে তোলে। শুধু তা-ই নয়, এটা গায়ের চামড়াটাকেও মোটা করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে একাকী এবং বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে আমাদের।’
মায়ের কথা বলতে গিয়ে অনশুলা জানান, ’আমি সব সময় বলি যে, আমার ডানায় মা-ই বাতাস জোগাতেন। আসলেই তিনি আমার মেরুদণ্ড ছিলেন।’ সম্প্রতি রিয়েলিটি শো ‘The Traitor’-এ দেখা গিয়েছে অর্জুনের বোনকে। সেখানে আত্মবিশ্বাস গড়তে মা কীভাবে সাহায্য করেছিলেন, সেটাও তুলে ধরেন অনশুলা।